—প্রতীকী ছবি।
করোনার বিরুদ্ধে দেশ জোড়া লড়াইয়ের সামিল মোড়গ্রামও। মুর্শিদাবাদ জেলার এই এলাকায় তিন বছর ধরে অক্সিজেন তৈরি হয় ‘রাজু অক্সিজেন প্রাইভেট লিমিটেড’-এ। বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতিতে সারা দেশ তথা রাজ্য জুড়ে অক্সিজেন ঘাটতি তৈরি হয়েছে। তার মোকাবিলা করতে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা। মোড়গ্রামের রিফিলিং সেন্টারে মেডিক্যাল বিভাগে জোর কদমে চলছে রাজু অক্সিজেন প্রাইভেট লিমিটেড-এর অক্সিজেন তৈরির কাজ।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, আগে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও মেডিক্যাল দুই বিভাগে অক্সিজেন হত। কিন্তু করোনা আবহে ইন্ডাস্ট্রিয়াল বিভাগটি বন্ধ রেখে শুধু মাত্র মেডিক্যাল তিনগুণ উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। সংস্থার কর্ণধার অমিতকুমার কর্মকার বলেন, ‘‘আমরা অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে রিফিলিং করছি। কোভিড সংক্রমণ জেরে জোরকদমে চলছে কাজ। বর্তমানে ইন্ডাস্ট্রিয়াল উৎপাদন বন্ধ রেখে শুধু মেডিক্যাল অক্সিজেন তৈরি করা হচ্ছে। আগে মেডিক্যাল রিফিলিং হত ১৫০-এক কাছাকাছি হত। এখন দৈনিক গড়ে ৬০০ রিফিলিং করা হয়। সমগ্র মুর্শিদাবাদ জেলা-সহ বীরভূম, ঝাড়খণ্ডে এই ঘাটতি মেটানো হয়ে থাকে।’’
তিনি জানান, তরল অক্সিজেন নিয়ে আসা হয় এবং সিলিন্ডারে রিফিলিং করা হয়। সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থা নিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন সরবরাহ করা হলেও কালোবাজারি চলছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অমিতকুমার। জানান, সরকারি ভাবে নির্দেশ আছে অক্সিজেনের চাহিদা যেন মেটানো যায়। দুর্গাপুর থেকে তরল অক্সিজেন আনার পর ট্যাঙ্কের মধ্যে ভরে অক্সিজেন সিলিন্ডার ভর্তি করা হয়। এরপর তা মুর্শিদাবাদ জেলার সমস্ত হাসপাতালে এবং বীরভূম এবং ঝাড়খণ্ড পাঠানো হয়। মুর্শিদাবাদ জেলাতে অক্সিজেনের ঘাটতি মেটাতে সমস্যা সমাধানের জন্য দিনরাত এক করে কাজ করে চলেছেন শ্রমিকরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy