Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus in West Bengal

Corona vaccine: টিকা দিতে অগ্রাধিকার দ্বিতীয় ডোজ়ে

কোউইন পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী জেলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ২৪ লক্ষ মানুষ করোনা টিকা পেয়েছেন।

মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে উপচে পড়ছে বিধি না মানা ভিড়। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

মেডিক্যাল কলেজের আউটডোরে উপচে পড়ছে বিধি না মানা ভিড়। ছবি: গৌতম প্রামাণিক

বিদ্যুৎ মৈত্র
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৭:০৪
Share: Save:

করোনা টিকার প্রথম ডোজ়ের অর্ধেক গ্রাহকও এখনও টিকার দ্বিতীয় ডোজ় পাননি জেলায়। তাই প্রথম ডোজ়ের পাশাপাশি দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়াকেই আপাতত অগ্রাধিকার দিচ্ছে জেলা স্বাস্থ দফতর। আর তা দেওয়া শুরু হয়েছে সোমবার থেকেই।

কোউইন পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী জেলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ২৪ লক্ষ মানুষ করোনা টিকা পেয়েছেন। তার মধ্যে ১৭ লক্ষ ৯৪ হাজার ৯২৩ জন টিকার প্রথম ডোজ় পেয়েছেন, যাঁদের মধ্যে ৬ লক্ষ ৪২ হাজার ৪৫৫ জন মানুষ করোনার দ্বিতীয় ডোজ় পেয়েছেন। সেই গ্রাহকদের অধিকাংশই কোভিশিল্ডের গ্রাহক। এদের অনেকের দ্বিতীয় ডোজ় পাওয়ার সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে। অনেকের টিকা নেওয়ার সময় চলে এসেছে। কিন্তু রাজ্যের নির্দেশে জেলায় টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বেশ কিছু নয়া পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। প্রতি টিকা কেন্দ্রে দু’শো করে টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত তার মধ্যে অন্যতম। যার জন্য আগের থেকে গড়ে বেশি টিকা দেওয়া হচ্ছে।

পাশাপাশি গ্রামীণ এলাকায় আগে যেহেতু টিকা দেওয়া কম হয়েছে ফলে সেই এলাকার বয়স্ক মানুষের অনেকেই সেই টিকার প্রথম ডোজ়ও পাননি। অনেকে প্রাথমিক পর্যায়ে টিকা নিতে অস্বীকারও করেছেন। কিন্তু সর্বস্তরের সাধারণ মানুষকে বাধ্যতামূলক ভাবে টিকা নেওয়ার সরকারি নির্দেশে সেই সব এলাকায় টিকা দানে গতি এসেছে জেলায়। আবার জেলার দুই নির্বাচন কেন্দ্র জঙ্গিপুর ও শমসেরগঞ্জের ক্ষেত্রে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছিল নির্বাচন ঘোষণার পূর্ব মূহূর্ত থেকে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা যায়, ওই এলাকার ভোটার তালিকা অনুযায়ী ১৮ ঊর্ধ্ব মানুষদের প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ টিকার প্রথম ডোজ় পেয়েছেন। আর পিছিয়ে গিয়েছে টিকার দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়ার কর্মসূচি।

আর সেই কারণে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর তাঁদের নয়া ছক থেকে কিছুটা সরে আসতে বাধ্য হলেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। সোমবার একটি বেসরকারি সংস্থাসহ ২৭২টি টিকাদান কেন্দ্র থেকেই আগের মতো টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে আগামী বুধবার থেকে পুরনো সদর হাসপাতাল ও জেলা পুলিশ হাসপাতাল থেকে করোনা টিকা দেওয়া হবে। তবে যে পদ্ধতিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা দিচ্ছিলেন সেই টোকেন হাতে নিয়েই টিকাদান কেন্দ্রে যাওয়াকেই স্বাস্থ্য দফতর প্রাথমিক ভাবে জোর দিতে চাইছে। আধিকারিকদের দাবি, “টোকেন পদ্ধতিতে টিকা দেওয়া হলে প্রশাসনিক দিক থেকে সুবিধা হয়। অভিযোগের নালিশ কম আসে। টিকা কেন্দ্রে অযথা ভিড় এড়ানো যায়।”

কিন্তু সেই পদ্ধতিতে চললে অনেক নাগরিকেরই টিকার দ্বিতীয় ডোজ় পেতে ৮৪ দিনের অনেক বেশি দেরি হয়ে যাবে। ফলে পুজোর সময় একদিকে ভ্রমণ পিয়াসীদের যেমন অসুবিধা হবে তেমনই কাজের ক্ষেত্রে যাঁরা বাইরে থাকেন তাঁদেরও টিকার দুটো ডোজ় না পেলে সেখানে যাওয়াও পিছিয়ে যাবে। এই আশঙ্কায় অনেকেই জেলার হাসপাতাল থেকে স্বাস্থ্য দফতরে উদ্বিগ্ন হয়ে যোগাযোগ শুরু করেছিলেন।

সে সব দিক বিবেচনা করে তাই টিকাদান কেন্দ্রে গেলেই তাঁকে টিকার দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ সান্যাল। তিনি বলেন, “এক লক্ষ ৪৩ হাজার টিকা আগামী তিন চার দিনের জন্য খরচ করা হবে। তবে জোর দেওয়া হবে টিকার দ্বিতীয় ডোজ় দেওয়ার জন্য।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy