দুটি সংক্রমণ একসঙ্গে হলে তা ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। প্রতীকী ছবি
করোনার আড়ালে উঁকি দিচ্ছে ডেঙ্গি। জেলায় যখন লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে, তখন ডেঙ্গির প্রভাবও বাড়ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, গত বছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গির প্রভাব কম। গত বছর জানুয়ারি থেকে অগস্ট পর্যন্ত জেলায় ৩৩৫জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। সেখানে এবছর জানুয়ারি থেকে ২০অগস্ট পর্যন্ত জেলায় ৭০জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে স্বস্থির খবর হল, গত বছরের মতো এ বছরও জেলায় ডেঙ্গিতে কারও মৃত্যু হয়নি।
জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানান, করোনার পরিস্থিতির মধ্যেও জেলাজুড়ে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী চলছে। জেলা পরিষদ, স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, পুরসভা কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে কাজ চলছে। গত মার্চ থেকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে স্বাস্থ্য কর্মী ও গ্রামীণ সম্পদ কর্মীরা ডেঙ্গির বিষয়ে বাসিন্দাদের যেমন সচেতন করছে, তেমনই মশানাশক স্প্রে করছে। মুর্শিদাবাদের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘করোনার মতো ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণেও জেলা জুড়ে কাজ চলছে।’’
এ বছর ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণের কাজ করছে মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সুদীপ্ত পোড়েল বলেন, ‘‘গত বছরের তুলনায় এবারে ডেঙ্গি কম। তবুও আমরা করোনার মতো ডেঙ্গি-সহ মশা-মাছি বাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে আমরা কাজ করছি। মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি স্প্রে, ফগিং করা হচ্ছে। যাঁরা এসব কাজ করছেন তাঁদের পিপিই কিট দেওয়া হয়েছে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর গত বছর, জেলায় ২০৯২জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চলতি বছরে ২০অগস্ট পর্যন্ত ৭০জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে গত বছরের মতো এবছরে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে কারও মৃত্যু হয়নি। মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ সূত্রের খবর, জেলায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার জন্য ২৬৭৬টি ভেক্টর কন্ট্রোল টিম তৈরি করা হয়েছে, যার সদস্য সংখ্যা ৩৪০০। এলাকায় স্প্রে ও ফগিংয়ের করার জন্য ৯৮০টি দল করা হয়েছে, যার সদস্য সংখ্যা ২২০৫জন। তাঁদের কাজ দেখভালের জন্য রয়েছে ৩৬৭জন সুপার ভাইজার। এই সব কর্মীরা গত মার্চ থেকে ডেঙ্গি নিয়ন্ত্রণে কাজও শুরু হয়েছে।
সূ্ত্রের খবর এবছর বেশি ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছে বেলডাঙা-১ ব্লকে। সেখানে এবছর ৭জন আক্রান্ত হয়েছেন। এর পরেই বহরমপুরে ব্লকে ৬জন আক্রান্ত হয়েছেন। বেলডাঙা-২ ও লালগোলা ব্লকে ৫জন করে, বহরমপুর শহর ও হরিহরপাড়া ব্লকে ৪জন করে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে গত বছর নওদায় যেখানে ১০৪জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছিলেন, এবছর সেখানে মাত্র এক জন আক্রান্ত হয়েছেন।
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy