প্রতীকী চিত্র
হাসপাতালে চার দিন ভর্তি থাকা এক রোগী করোনা পজ়িটিভ জানতে পেরেই স্বেচ্ছায় হাসপাতাল থেকে ছুটি নিলেন অন্য রোগীরা। শুনশান গোটা মহিলা ওয়ার্ড। নওদার আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালের ঘটনা। হাসপাতাল সূত্রেই জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে জ্বর সহ বেশ কিছু উপসর্গ নিয়ে বত্রিশ বছর বয়সী এক মহিলা ভর্তি হন আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে। ওই মহিলার বাড়ি হরিহরপাড়ার ভবানীপুর গ্রামে। শুক্রবার ওই মহিলার লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে। শনিবার বিকেলে রিপোর্ট আসে তিনি করোনা আক্রান্ত। এর পরেই আতঙ্ক ছড়ায় হাসপাতালে ভর্তি থাকা অন্য রোগীদের মধ্যে। চার দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রোগী করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা রোগীরা স্বেচ্ছায় ছুটি নিয়ে নেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, করোনার রিপোর্ট আসার আগে শনিবার সকালেই ওই রোগীর আত্মীয়রা তাঁকেও স্বেচ্ছায় ছুটি করিয়ে নেন। তবে করোনা রিপোর্ট আসার পরেই নওদার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক বিষয়টি হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আধিকারিককে জানান। হরিহরপাড়ার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আজিজুল লস্কর জানান, ‘‘করোনা আক্রান্ত ওই মহিলা আপাতত হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মীরা তাঁর বাড়িতে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন।’’ তবে লালারস পরীক্ষার পর কেনই বা ওই রোগীকে রিপোর্ট আসার আগে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হল তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তবে আক্রান্ত ওই মহিলার পরিবারের লোকেদের দাবি, ‘‘জ্বর ছাড়া অন্য কিছু লক্ষণ ছিল না। শুধু জ্বর নিয়ে চার দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি সেই কারণে ছুটি করিয়ে নিয়েছি।’’ হাসপাতালে ভর্তি থাকা এক রোগীর আত্মীয় (মাজেরা বিবি) বলেন, ‘‘ডাক্তার, নার্সরা করোনা আক্রান্ত রোগীকে ইঞ্জেকশন, স্যালাইন দেওয়ার পর অন্য রোগীদেরও চিকিৎসা করেছেন। তাদের মাধ্যমেও তো অন্য রোগীদের মধ্যে করোনা ছড়াতে পারে।’’ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে শনিবার সকালে ওই ওয়ার্ডে একটি ঘরে মোট সাত জন রোগী ভর্তি ছিলেন। ওই মহিলা করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েই শনিবার বিকেলেই তারা হাসপাতাল থেকে স্বেচ্ছায় ছুটি নিয়ে নেন। হাসপাতালে কর্তব্যরত এক নার্স বলেন, ‘‘কোনও রোগী স্বেচ্ছায় ছুটি নিতে চাইলে বা জোর করলে আমাদের কিছুই করার থাকেনা। চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে তাদের ছুটি দিয়ে দিতে হয়। এক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে।’’
নওদার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক মুকেশ কুমার সিংহ বলেন, ‘‘ভর্তি থাকা এক রোগী করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পেয়েই ওই ওয়ার্ডের বাকি রোগীরা ছুটি নিয়ে নিয়েছে। গোটা ওয়ার্ড স্যানিটাইজ করা হয়েছে। ভর্তি থাকা অন্য রোগীদের হোম আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। তাদেরও লালারস পরীক্ষা করা হবে।’’
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy