প্রতীকী ছবি
বেলডাঙা ২ ব্লকের সীমানা ভারি অদ্ভুত। ভাগীরথী নদী এই ব্লককে দুটো আড়াআড়ি ভাগে ভাগ করেছে। মোট ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এক পাড়ে পাঁচটি, অপর পাড়ে ছয়। এই ভাগ সর্বত্র। ব্লকের প্রধান কেন্দ্র ভাগীরথীর পশ্চিমে শক্তিপুর।
সেখানেই ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এ ছাড়া মোট তিনটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে দু’দিকে। পূর্বে একটি পশ্চিমে দু’টি। এই নিয়ে পূর্ব পাড়ের মানুষের ক্ষোভের অন্ত নেই। কারণ পশ্চিম দিকে পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত থাকলেও এই পাড়েই ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছাড়াও দুটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম সোমপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য। সেখানে অতীত কালে আট বেডের হাসপাতাল চলত। এখন তা চলে না। তবে করোনা পরিস্থিতিতে একজন চিকিৎসক পরিষেবা দিচ্ছেন। তবে এই হাসপাতাল নিয়ে অভিযোগও কম নয়। কয়েক দশক আগে এখানে সব ধরনের চিকিৎসা হত। হাসপাতালের বেডে আট জন রোগী ভর্তি থাকতেন। প্রসূতি মায়েদের ভিড় লেগে থাকত। কিন্তু এখন তা হয় না। সারা বছর নিয়মিত চিকিৎসকও মেলে না বলে অভিযোগ। কিন্তু এখন করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একজন চিকিৎসক সেখানে যাচ্ছেন। এখানে গত দুই মাস ধরে বহিরাগত মানুষের নানা চিকিৎসা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা রাখহরি মণ্ডল বলেন, “বাইরে থেকে যারা এসেছেন তাদের চিকিৎসা হয়েছে। না হলে তাদের শক্তিপুর বা বহরমপুর যেতে হত। এতে গরিব মানুষের উপকার হয়েছে।’’ সোমপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখন একজন চিকিৎসক মৃণালকান্তি চট্টোপাধ্যায়। একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন গ্রুপ ডি কর্মী হাসপাতাল চালাচ্ছেন।
সোমপাড়ার বাসিন্দা তাজারুল হক বলেন, “এখন একজন চিকিৎসক আছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতি কেটে গেলে থাকবেন কিনা জানি না।” বেলডাঙা ২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তরুণ বারুই বলেন, “সারা বছর ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এর আগে অন্য চিকিৎসক ছিলেন। করোনা পরিস্থিতিতে পরিষেবা আরও ভাল করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সেখানে একজন স্থায়ী চিকিৎসক রয়েছেন।” তিনি বলেন, এখন সাধারণ রোগীর সংখ্যা লকডাউনের জেরে কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy