Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Lalbagh

করোনায় আক্রান্ত তিন আয়া

শুক্রবার রাতেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের করোনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন লালবাগ মহকুমা হাসপাতালেরই এক নার্স।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন
লালবাগ শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০২০ ০৩:০৩
Share: Save:

নার্সের পরে এ বারে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের তিন আয়া করোনায় আক্রান্ত হলেন। তিন জনেরই বাড়ি মুর্শিদাবাদ পুরসভা এলাকায়। এছাড়াও ধুলিয়ান পুরসভা এলাকার দুই যুবক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সোমবার রাতে মুর্শিদাবাদের এই পাঁচজনের করোনা পজিটিভ হয়েছে। মঙ্গলবার তাঁদের বহরমপুরে মাতৃসদন করোনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই পাঁচজনকে নিয়ে জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হল ২২৮জন। মুর্শিদাবাদের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘সোমবার রাতে জেলায় পাঁচ জনের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁদের সংস্পর্শে যাঁরা এসেছেন চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’

শুক্রবার রাতেই করোনা আক্রান্ত হয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের করোনা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন লালবাগ মহকুমা হাসপাতালেরই এক নার্স। বহরমপুরের বাসিন্দা ওই নার্স। শনিবার ওই নার্সের সংস্পর্শে আসা এক নার্স সহ লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে বেশ কয়েক জন কর্মী সহ আয়াদেরও লালারস পরীক্ষায় পাঠানো হয়। তারপর সোমবার সন্ধ্যায় রিপোর্ট আসে তিন জন আয়া করোনা পজ়িটিভ।

হাসপাতাল সূত্রে খবর, আক্রান্ত তিন জনই মুর্শিদাবাদ থানা এলাকারই বাসিন্দা। তিন জনই প্রসূতি বিভাগে কাজ করতেন। এ দিন ওই তিন জন আয়া আক্রান্ত হওয়ার পরই। মেটারনিটি ওয়ার্ড সিল করে পুরনো মেটারনিটি ওয়ার্ড পরিষ্কার করে সেখানে রোগীদের রাখা হয়েছে।

এ ছাড়াও ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে বেশ কয়েক জন রোগীকে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত সোমবার পর্যন্ত বিভিন্ন ওয়ার্ডে ৩৮ জন রোগী ভর্তি ছিলেন। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসার পর খুব জরুরি রোগী ছাড়া ১২ জন রোগীকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিনও হাসপাতালের প্রায় ২০ জনের লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি লালারস পরীক্ষার পর ওই আয়ারা আর হাসপাতালে কাজে আসতে দেওয়া হয়নি। এ ছাড়াও ওই আয়ারা শুক্রবার পর্যন্ত কোন কোন রোগীর কাজ করেছেন হাসপাতালের নথি দেখে সেই সব রোগীদের তালিকা তৈরি হয়েছে।

বর্তমানে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালে মোট ১৬ জন বাইরের আয়া কাজ করেন। তাঁদের মধ্যে কেউ দিনে তো কেউ রাতে রোগীদের দেখাশোনা করেন। সরকারি হাসপাতালে আয়া রাখা র অনুমতি দেওয়া হল কেন? উত্তরে লালবাগ মহকুমা হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ দেওঘরিয়া বলেন, ‘‘আয়ারা হাসপাতালে কেউ নন। বাইরেই থাকেন। রোগীদের আত্মীয়রা তাঁদের বাইরে থেকে পয়সা দিয়ে নিয়ে আসে। ভিজিটিং আওয়ার্স ছাড়া কাউকে হাসপাতালে ঢুকতে দেওয়া হয় না। রোগীর পরিজনেরা ওই সময়টা কাজের জন্য পয়সা দিয়ে আয়াদের কাজে লাগান।’’

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের এও দাবি, ওই আয়ারা হাসপাতালে থাকেন না তারা নিজেদের বাড়ি থেকে যাওয়া আসা করেন। মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, "আক্রান্তরা কী কাজে যুক্ত, সে খোঁজ নিতে পারিনি। তবে তাঁদের চিকিৎসার প্ৰয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy