Advertisement
১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Coronavirus

পালানোর পর ধৃত করোনা রোগী, আশঙ্কা

শেষ পর্যন্ত বুধবার নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ বেথুয়াডহরি এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়়কের উপরে তাঁকে ধরতে পারে।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২০ ০৪:৩১
Share: Save:

করোনা হয়েছে সন্দেহে তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছিল। অভিযোগ, সেখান থেকে তিনি পালিয়েছিলেন। এবং শুধু তাই নয় তার পর কাজেও বেরিয়েছেন! ইতিমধ্যে তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসায় রাতের ঘুম উড়ে যায় স্বাস্থ্যকর্তাদের। শুরু হয় খোঁজ।

শেষ পর্যন্ত বুধবার নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ বেথুয়াডহরি এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়়কের উপরে তাঁকে ধরতে পারে। খবর পেয়ে কৃষ্ণনগর সদর মহকুমাশাসক মণীশ বর্মা নিজে গিয়ে তাঁকে নিয়ে এসে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের হাতে তুলে দেন। পরে তাঁকে কল্যাণীর কার্নিভাল কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তির আদি বাড়ি নদিয়ার তেহট্টের কুষ্টিয়া গ্রামে। তিনি পেশায় মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ। সপ্তাহখানেক আগে আসানসোল-ঝাড়খণ্ড সীমানা থেকে কোনও কারণে তাঁকে ধরা হয়। তখনই কিছু শারীরিক উপসর্গ দেখে তাঁকে আসানসোলে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। ৭ মে তাঁর লালারস সংগ্রহ করা হয় পরীক্ষার জন্য। কিন্তু রিপোর্ট আসার আগেই ৯ মে তিনি সেখান থেকে পালিয়ে যান। পরে রিপোর্ট এলে দেখা যায়, তিনি করোনা পজেটিভ। হইচই পড়ে যায়।

দেখা যায়, তিনি যে ফোন নম্বর দিয়েছিলেন সেটা ভুল। ভুল দিয়েছেন ঠিকানাও। গত মঙ্গলবার রাতে আসানসোল সাউথ থানার ওসি ফোন করে বিষয়টি জানান চাকদহ থানার আইসিকে। কিন্তু চাকদহ থানা এলাকায় ওই নামের কারও সন্ধান পাওয়া যায়নি। তখন জেলার ভোটার তালিকা পরীক্ষা করে দেখা যায় যে, ওই নামে তেহট্টের কুষ্টিয়া গ্রামে এক জন রয়েছেন।

তেহট্ট থানার পুলিশ ওই গ্রামে গিয়ে জানতে পারে, তিনি পরিবারে নিয়ে কৃষ্ণনগরে বাড়ি ভাড়া করে থাকেন। তাঁর ফোন নম্বর সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু ফোন করা হলে তিনি পুলিশ ও ব্লক প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করেন বলে অভিযোগ। বুধবার সকালে তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যক্তি এর মধ্যে পলাশিতে ওষুধ বিক্রি করতে গিয়েছেন। তাঁর শারীরিক অবস্থার খুব একটা অবনতি হয়নি বলেই এটা তিনি করতে পেরেছেন। কিন্তু এর ফলে কোথায় কোথায় সংক্রমণ ছড়িয়েছে তা ভেবে উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যকর্তারা।

শেষ পর্যন্ত তাঁকে ধরে ফেলে নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ। যদিও জেরায় তিনি জানান, ৭ থেকে ১৩ মে তিনি কৃষ্ণনগরেই ছিলেন। তাঁর গাড়ির চালককে কৃষ্ণনগরের কর্মর্তীর্থে কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে। তাঁরও লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা তাঁর স্ত্রী ও শ্যালককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Nakashipara
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy