কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজনীতিতে এলে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। ওই বিচারপতিকে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ করে নির্বাচন হলে পছন্দের তালিকায় প্রথমেই থাকবেন তিনি। শনিবার এমনই মন্তব্য করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। তৃণমূল অধীরের মন্তব্যে কটাক্ষ করলেও বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এ প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করেননি।
শনিবার সকালে মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে এসেছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। বহরমপুরে অধীরের সাংবাদিক বৈঠকে বিচারপতির সফর প্রসঙ্গ উত্থাপিত হতেই তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর মন্তব্য রাজনৈতিক ভাবে ইঙ্গিতপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের একাধিক রায় রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
রাজ্যের মানুষের আস্থা, বিশ্বাস এবং ভরসা অর্জন করেছেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। শনিবার এমন মন্তব্যই করেন অধীর। তিনি বলেন, ‘‘আমি চাইব, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়কে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মুখ করে একটা নির্বাচন হোক। সেই নির্বাচন হলে আমি কায়মনোবাক্যে ওই মানুষটিকে ভোট দিতে লাইনের সবচেয়ে আগে দাঁড়াব। বাংলার মানুষ তাঁকে বিশ্বাস করছে। ভরসা করছে।’’ অধীরের সংযোজন, ‘‘বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো মানুষেরা রাজনীতিতে এলে নতুন দিগন্ত তৈরি হবে।’’ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি চান, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো কারও হাতে রাজ্য পরিচালনার রাশ থাকুক।
শনিবার সকালে হাজারদুয়ারি এক্সপ্রেসে চেপে বহরমপুর পৌঁছন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। মুর্শিদাবাদ জেলায় দিনভর তাঁর একাধিক ‘কর্মসূচি’ ছিল। সকালেই বহরমপুর থেকে লালবাগের হাজারদুয়ারি প্যালেসে যান। তার পর বহরমপুরে এসে শহিদ ক্ষুদিরাম পাঠাগারে একটি ক্যানসার প্যালিয়েটিভ কেয়ার ইউনিট, ক্ষুদিরাম পাঠাগারের উদ্বোধনের কথা রয়েছে তাঁর। দুপুরে বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে মুক্তমঞ্চে একটি অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করার কথা বিচারপতির। তাঁকে নিয়ে কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীরের ‘ব্যক্তিগত অভিমত’ নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
অধীরের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁকে কটাক্ষ করেন মুর্শিদাবাদের তৃণমূল সাংসদ আবু তাহের খান। তিনি বলেন, ‘‘যদি অভিজিৎবাবু বিজেপির হয়ে দাঁড়ান? অধীরবাবুও বিজেপিকে ভোট দেবেন?’’ শ্লেষের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখ!’’ তৃণমূল এ-ও কটাক্ষ করে যে, লোকসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে আঁতাঁত করতে চাইছেন অধীর।
অন্য দিকে, অধীরের মন্তব্য তুলে ধরা হয়েছিল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সামনে। তবে তিনি কোনও মন্তব্য করেননি।