Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪

জাতীয় সড়কে উচ্ছেদে বাধা

বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় যান প্রশাসনের আধিকারিকেরা। তাঁরা জমির মাপজোক শুরু করতেই বাধা আসে। বিক্ষুব্ধ জমিমালিকেরা দাবি করেন, ক্ষতিপূরণের টাকা ঠিক নিয়ম মেনে দেওয়া হয়নি।

 জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণে ক্ষতিগ্রস্তদের আন্দোলন। নিজস্ব চিত্র

জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণে ক্ষতিগ্রস্তদের আন্দোলন। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শান্তিপুর শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০২০ ০৪:১৪
Share: Save:

জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য জটিলতা কাটল না। অধিগৃহীত জমি থেকে দখল উচ্ছেদের আগে জমি চিহ্নিত করতে এসে কিছু বাসিন্দাদের কাছে বাধা ফিরতে হল প্রশাসনিক আধিকারিকদের।

জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের জন্য অধিগৃহীত জমির দাম নিয়ে শান্তিপুর ব্লকের জ্যোতিপল্লি এলাকায় কিছু মানুষের ক্ষোভ ছিল আগে থেকেই। তাঁদের দাবি, জমি অধিগ্রহণের পরে তাঁরা যখন টাকা পেয়েছেন তখন নতুন আইন চালু হয়ে গিয়েছে। তাঁদেরও নতুন আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এর আগে প্রশাসনের লোকজন তাঁদের উচ্ছেদের নোটিস দিতে গেলে অনেকেই তা নিতে অস্বীকার করেন।

বেগতিক বুঝে শান্তিপুর ব্লক অফিসে জমিদাতাদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিল জেলা প্রশাসন। সেখানে নবলা, বেলগড়িয়া এলাকার অনেকেই ছিলেন। কিন্তু শুকপুকুরিয়া মৌজার বহু মানুষ অনুপস্থিত ছিলেন। তাঁদের মতামত পাওয়া যায়নি। প্রশাসনের বক্তব্যও জানানো যায়নি।

বৃহস্পতিবার ওই এলাকায় যান প্রশাসনের আধিকারিকেরা। তাঁরা জমির মাপজোক শুরু করতেই বাধা আসে। বিক্ষুব্ধ জমিমালিকেরা দাবি করেন, ক্ষতিপূরণের টাকা ঠিক নিয়ম মেনে দেওয়া হয়নি। আগে নিয়ম মেনে টাকা দেওয়া হোক, তার পরে অন্য সব কাজ হবে। ওই বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এর আগে জমি অধিগ্রহণের জন্য মাপ নিয়ে যেখানে খুঁটি পোঁতা হয়েছিল, এ দিন সেখান থেকে অন্তত পাঁচ ফুট ভিতরে খুঁটি পোঁতার চেষ্টা করা হচ্ছিল। এর পরেই বাধা দেওয়া হয়।

তবে প্রশাসনের দাবি, আইন মেনে ক্ষতিপূরণ আগেই দেওয়া হয়েছে। আর পূর্ব নির্ধারিত মাপ অনুযায়ীই খুঁটি পোঁতা হচ্ছে। বেশি জমি নেওয়া হচ্ছে না। অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি সংস্কার) নারায়ণচন্দ্র বিশ্বাস, রানাঘাটের মহকুমাশাসক হরসিমরন সিংহ ও অন্য অফিসারেরা সেখানে ছিলেন। তাঁরা ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন। আলোচনায় বসার প্রস্তাবও দেওয়া হয়।

ওই এলাকায় আগে থেকেই জমি নিয়ে আন্দোলন করছে ‘অনগ্রসর জনজাগরণী মঞ্চ’। এ দিন নিজেদের ব্যানার টাঙিয়ে বক্তৃতা করেন মঞ্চের সদস্যেরা। তাঁদের দাবি, এলাকার বহু জমিদাতা তাঁদের সংগঠনের ছাতার তলায় এসেছেন। তাঁরা একজোট হয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। সংগঠনের ফুলিয়া এলাকার সভাপতি প্রফুল্ল রায় বলেন, “আমাদের মঞ্চকে চিঠি দিয়ে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানালে তবেই আমরা যাব। আমরা তো প্রশাসনকে জানাতেই চাই যে কী ভাবে আমাদের সঙ্গে বঞ্চনা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের কথা শোনা হচ্ছে না।”

অতিরিক্ত জেলাশাসক অবশ্য চিঠি দেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরা ওঁদের বৈঠকে ডেকেছি। আগেও ডাকা হয়েছিল। ওঁরা এলে ভাল, তা না হলে প্রশাসন নিজের মতো ব্যবস্থা নেবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Government Shantipur National High way
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy