Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Farudulence

ভ্রমণ সংস্থার বিরুদ্ধে প্রতারণা, নিগ্রহের অভিযোগ

সৌগতার আরও অভিযোগ, তাঁদের হাওড়া থেকে পটনা ইন্টারসিটি ট্রেনের চেয়ার কারে নিয়ে যাওয়া হয়। পটনা সাহিব স্টেশনে নামিয়ে তাঁদের অটো করে নিয়ে যাওয়া হয় হাজিপুর স্টেশনে।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নবদ্বীপ  শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০২৪ ২৩:২৪
Share: Save:

বেড়াতে নিয়ে গিয়ে চুক্তিভঙ্গ। শিশু ও মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার এবং আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠল নবদ্বীপের এক ভ্রমণ সংস্থার বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে নবদ্বীপ থানায় ওই ভ্রমণ সংস্থার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন এক শিক্ষিকা সৌগতা রায়।

সম্প্রতি ওই শিক্ষিকা দুই কন্যা-সহ ওই ভ্রমণ সংস্থার মাধ্যমে হরিদ্বার, হৃষিকেশ, দেহরাদুন, মুসৌরী প্রভৃতি স্থানে বেড়াতে যাওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, যাতায়াতের ট্রেন এবং অন্যান্য গাড়ি থেকে শুরু করে থাকা, খাওয়া কোনও বিষয়েই ওই ভ্রমণ সংস্থা তাদের প্রতিশ্রুতি রাখেনি। এমনকী ভ্রমণের সময় এই বিষয়গুলি নিয়ে প্রতিবাদ করলে তাঁদের সঙ্গে চূড়ান্ত দুর্ব্যবহার, এমনকি শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের সম্মুখীন হতে হয় বলে অভিযোগ শিক্ষিকার।
কী ঘটেছিল তাঁদের সঙ্গে?

ওই শিক্ষিকার কথায়।, ‘‘গত ২৪ মে ওই ভ্রমণ সংস্থার সঙ্গে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। ২৩ মে রাতে নবদ্বীপ ওলাদেবী তলায় ওই ভ্রমণ সংস্থার অফিসে সম্পূর্ণ টাকা দিতে গিয়ে জানতে পারি প্রথমে যে ট্রেনে আমাদের নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়েছিল সেই দুন এক্সপ্রেসের নাকি টিকিট পাওয়া যায়নি। তাই হাওড়া থেকে অন্য ট্রেনে প্রথমে পটনা এবং সেখান থেকে অন্য আর একটি ট্রেনে হরিদ্বারের খানিক আগে পর্যন্ত যেতে হবে। তার পর সেখান থেকে ওই ভ্রমণ সংস্থার ব্যবস্থাপনায় গাড়ি সড়ক পথে আমাদের হরিদ্বারে নিয়ে যাবে। বেড়ানোর পথে গোলমালের সেই শুরু।”

সৌগতার আরও অভিযোগ, তাঁদের হাওড়া থেকে পটনা ইন্টারসিটি ট্রেনের চেয়ার কারে নিয়ে যাওয়া হয়। পটনা সাহিব স্টেশনে নামিয়ে তাঁদের অটো করে নিয়ে যাওয়া হয় হাজিপুর স্টেশনে। সেখানে রাত দেড়টা নাগাদ আসা অনন্তবিহার এক্সপ্রেসে চড়িয়ে উল্টো দিকে মজঃফফরপুর নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে মোরাদাবাদ হয়ে অনেক দুর্ভোগের পর হরিদ্বার পৌঁছন তাঁরা। এসব করতে গিয়ে চলন্ত ট্রেনে ওই শিক্ষিকার এক কন্যাকে তুলে দিয়ে তাঁদের বাধ্য করা হয় সেই চলন্ত ট্রেনে উঠতে। তাঁর আরও অভিযোগ, হোটেলে ডিল্যাক্স ঘর দেওয়ার চুক্তি থাকলেও তোলা হয় একটি সেবা প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের ঘরে।

ইতিমধ্যে ওই শিক্ষিকার এক শিশুকন্যা অসুস্থ হয়ে পড়েন। সৌগতা বলেন, “আমরা যখন বেড়ানো বাতিল করে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়ে ওনার কাছে টাকা ফেরত চাই তখন উনি আমাদের শারীরিক ভাবে হেনস্থা করেন। কোনওরকমে স্থানীয় মানুষের সাহায্যে তৎকাল টিকিট কেটে আমরা নবদ্বীপে ফিরে আসি এবং পুলিশের দ্বারস্থ হই।”
যদিও অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই ভ্রমণ সংস্থার মালিক শুকদেব সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যক্তিগত এবং সংস্থার তিনটি ফোন নম্বরের কোনটিতেই সাড়া মিলছে না।

নবদ্বীপ থানার আই সি জলেশ্বর তিওয়ারি বলেন, “ওই ভ্রমণ সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। একটি মামলাও রুজু হয়েছে। তদন্ত চলছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Tourism Company Nabadwip
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy