টাকার বদলে নকল করার অনুমতি কলেজের। — ফাইল চিত্র।
টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের টুকতে দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠল চাপড়ায় এক তৃণমূল নেতার ভাইয়ের বিএড কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, যে সব পরীক্ষার্থী টাকা দিয়ে নকল করতে অস্বীকার করেছিলেন তাঁদের থেকেও পরীক্ষায় বসতে দেওয়ার জন্য মোটা টাকা জবরদস্তি আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ। যাঁরা টাকা দিয়ে নকল করতে চাননি তাঁদের অনেক দেরিতে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে বলেও ওই বিএড কলেজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার বিএডের তৃতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষা ছিল। ধুবুলিয়ার কবি নজরুল ইসলাম বিএড কলেজের প্রায় ১০০ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল চাপড়ার গোখরাপোতা বিএড কলেজে। ধুবুলিয়ার কলেজের পরীক্ষার্থীদের অভিযোগ, তাঁরা পরীক্ষা দিতে ঢোকার পর কলেজের এক কর্মী তাঁদের ১ হাজার টাকা করে ঘুষ দিলে টোকাটুকির সুবিধা করে দেওয়া হবে বলে প্রস্তাব দেন। পরীক্ষার্থী বাপী হালদার, মোস্তাকিন শেখদের অভিযোগ, “আমরা টাকা দিয়ে টোকাটুকি করতে অস্বীকার করি। কিন্তু পরীক্ষা শুরুর আগে চার-পাঁচ জন এসে জানতে চায়, কারা-কারা টাকা দেয়নি। আমাদের থেকে ওরা জবরদস্তি ৬০০-৭০০ করে টাকা নিয়ে যায়।”
ধুবুলিয়ার কবি নজরুল ইসলাম বিএড কলেজের পরিচালন কমিটির সম্পাদক সৌভিক ঘোষের অভিযোগ, “যারা টাকা দিতে চায়নি তাদের প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়েছে। গোটা ঘরে প্রায় সমস্ত পরীক্ষার্থী মোবাইল দেখে পরীক্ষা দিয়েছে।” বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গোটা বিষয়টি লিখিত ভাবে আমরা জানিয়েছি। আমাদের কাছে পর্যাপ্ত প্রমাণ আছে। প্রয়োজনে আমরা তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে পেশ করব। ২০১৯ সালেও একই ঘটনা ঘটানো হয়েছিল।”
অভিযুক্ত চাপড়া গোখরাপোতা বিএড কলেজের পরিচালন সমিতির সম্পাদক তৃণমূলের নেতা তথা কৃষ্ণনগর পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল হাসান বিশ্বাসের ভাই রবিউল ইসলাম। তিনি অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। রবিউলের দাবি, “ওই পড়ুয়ারাই প্রথমে এসে আমাদের কর্মীদেরকে প্রস্তাব দেয় যে, ২০০ টাকার পরিবর্তে তাদের নকল করতে দিতে হবে। আমরা সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ওরা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করছে।”
একই দাবি আবুল হাসান বিশ্বাসেরও। তিনি বলেন, “আমি ওই কলেজের সঙ্গে জড়িত নই। তবে জানতে পেরেছি যে, টাকার বিনিময়ে নকল করতে না দেওয়ার কারণেই মিথ্যে কথা বলে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।” সংশ্লিষ্ট বিএড কলেজ দুটি বাবা সাহেব অম্বেদকর এডুকেশন ইউিভার্সিটির অধীনে। তারা এ বিষয়ে কিছু বলতে চায়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy