সুমন্ত সেন। নিজস্ব চিত্র।
তাঁর চোখের সামনেই কুপিয়ে খুন করা হয়েছে ব্যবসায়ীকে। মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে সার ব্যবসায়ী কাজল দত্ত খুনের পর এই বয়ানই দিয়েছিলেন তাঁর প্রাতঃভ্রমণের সঙ্গী সুমন্ত সেন। রবিবার সেই ‘প্রত্যক্ষদর্শী’কে গ্রেফতার করল ভরতপুর থানার পুলিশ। সুমন্তকে কান্দি মহকুমা আদালতে হাজির করানো হলে বিচারক চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
শনিবার ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ রোজকার মতো প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে খুন হন কাজল। তাঁর শরীরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের একাধিক চিহ্ন ছিল। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর সুমন্ত কাজলের পরিবারকে জানান, সন্ধিপুরের বিল পার হতেই দু’জন মুখোশ পরে মোটরবাইকে করে এসে কাজলের উপর হামলা চালান। ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারতে থাকেন। ঘটনাস্থলে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন কাজল। ঘটনার আকস্মিকতায় দিশাহীন হয়েই ছুটে পালিয়ে এসেছেন সুমন্ত। পরে স্থানীয়েরা কাজলের দেহ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ভরতপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কাজলকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, কাজল খুনের পর সুমন্ত যা বয়ান দিয়েছিলেন, তাতে সন্দেহ হয় ব্যবসায়ীর পরিবারের। এর পর পুলিশের কাছে দেওয়া বয়ানেও বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। নিহতের পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সুমন্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ব্যবসায়ীর পরিবার জানিয়েছে, কাজল ও সুমন্তের বন্ধুত্ব দীর্ঘদিনের। এলাকার মানুষ দু’জনকে একে অপরের পরিপূরক হিসাবেই জানেন। বাজারে কাছাকাছি দোকান দু’জনের। প্রাতঃভ্রমণ থেকে শুরু করে রাতে বাড়ি ফেরা, সুমন্ত কাজলের ছায়াসঙ্গী ছিলেন। পুলিশ সূত্রে দাবি, জেরায় সুমন্ত কাজলকে খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। কিন্তু কী কারণে সুমন্ত খুন করলেন? মানসিক সমস্যা না কি ব্যবসায়িক সঙ্ঘাত? খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেই খবর তদন্তকারীদের সূত্রে। যদিও সুমন্তের স্বীকারোক্তির ব্যাপারে পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছুই জানানো হয়নি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy