— প্রতীকী চিত্র।
এক আত্মীয়ের সূত্রে পরিচয়। তার পর থেকে বাড়িতে যাতায়াত। কথা দিয়েছিলেন চাকরি পাইয়ে দেবেন। তবে বিনিময়ে টাকা লাগবে। বিশ্বাস করে সিভিক ভলান্টিয়ার কয়েক দফায় মোটা অঙ্কের টাকা দিয়েছিলেন এক বধূ। কিন্তু তাঁকে প্রতারিত করে পালিয়েছেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। এমনই অভিযোগ নিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ বুলবুলি বিশ্বাস নামে এক মহিলা। তাঁর সঙ্গে আরও তিন জন আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ করেছেন। সব মিলিয়ে প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে নদিয়ার ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
‘প্রতারিত’ বধূর বাড়ি নদিয়ার গাংনাপুরের গোপীনগর এলাকায়। অভিযোগ, বর্ধমান জেলার কালনা কলেজে চাকরি দেওয়ার নাম করে বেশ কয়েক দফায় কয়েক লক্ষ টাকা নিয়েছেন কালনা থানার সিভিক ভলান্টিয়ার কাইসার শেখ। বুলবুলির দাবি অনুযায়ী, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত, দু’বছরের মধ্যে কখনও ইউপিআই পেমেন্ট, আবার কখনও নগদে তিনি টাকা দিয়েছেন কাইসারকে। চাকরি পাইয়ে দেবেন, এই প্রতিশ্রুতি দিয়ে এতগুলো টাকা নিয়ে তাঁকে প্রতারণা করেছেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। তাই তিনি পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
বুলবুলি আরও জানিয়েছেন, কালনা থানার দুর্গাপুরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে কাইসারের পরিচয় হয়। পেশায় সিভিক ভলান্টিয়ার কাইসার তাঁকে জানান, তাঁর অনেক চেনাশোনা। সেই সুবাদে কালনা কলেজে বুলবুলির একটি চাকরির ব্যবস্থা করে দেবেন। বধূর দাবি, তিনি ভরসা করে ঠকেছেন। তিনি জানান, আস্থা অর্জনের জন্য তাঁর পরিবারের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক তৈরি করেন ওই সিভিক ভলান্টিয়ার। কিছু দিন আগে তিনি খোঁজ নিয়ে পরে তিনি জানতে পারেন, তাঁর বাড়িতে যাতায়াতের সূত্রে গাংনাপুরের আরও বেশ কয়েক জনকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন অভিযুক্ত। কাউকে কাউকে টাকার পরিবর্তে ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়েছেন। ধরা পড়ার পরেও নানা ভাবে তাঁদের হুমকি দিয়েছেন কাইজার। তার পরেই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন তিনি। অন্য দিকে, অভিযুক্তের খোঁজ পাওয়া যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy