Advertisement
০১ নভেম্বর ২০২৪
Child Labour Rescued

উদ্ধার ২০ শিশু শ্রমিক

হোটেল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এই ভাবে শিশু শ্রমিকদের উদ্ধার ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এলাকা জুড়ে।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

নিজস্ব প্রতিবেদন
মুর্শিদাবাদ শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ০৯:০০
Share: Save:

হোটেল, গাড়ি গ্যারাজ, হলুদ তৈরির কারখানা বা বিড়ির কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করানো হচ্ছিল। সেই অভিযোগ পেয়ে অভিযানে নেমে গত পাঁচ দিনে বহরমপুর থেকে শুরু করে কান্দি, ডোমকল, লালবাগ ও জঙ্গিপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২০ জন শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সাত শিশু শ্রমিককে বিড়ি মহল্লা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের প্রত্যেকের বয়স ৯-১১ বছরের মধ্যে। এই ৭ জনকে আপাতত হোমে রেখে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে শিশু সুরক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। শ্রম দফতরের তরফেও অভিযুক্তদের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হচ্ছে, সেই সঙ্গে জরিমানা-সহ অন্য আইনি পদক্ষেপ করা হচ্ছে।

জেলা শিশু সুরক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান সোমা ভৌমিক বলেন, ‘‘১০৯৮ নম্বরে ফোন করে শিশু শ্রমিকের অভিযোগ গিয়েছিল জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরে গত পাঁচ দিন থেকে আমরা জেলার বিভিন্ন মহকুমায় অভিযান চালাচ্ছি।’’ তাঁর বক্তব্য, ‘‘শিশুদের কোনও ভাবেই শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগানো যাবে না। এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।’’ মুর্শিদাবাদের যুগ্ম শ্রম কমিশনার বিতান দে বলেন, ‘‘যাঁরা শিশুদের শ্রমিক হিসেবে কাজে লাগিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।’’

জেলা শিশু সুরক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযানে নেমে বহরমপুর থেকে ৫ জন, কান্দির মহালন্দি থেকে চার জন, লালবাগ ও ডোমকল থেকে দু’জন করে শিশু শ্রমিককে উদ্ধার করা হয়েছে। তারা কোথাও হোটেলে কাজ করছিল, কোথাওবা গাড়ির গ্যারাজে কাজ করছিল। অভিযোগ যেতেই তাদের উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার শমসেরগঞ্জ থেকে ৭ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জেলাবাসীর অভিযোগ, জেলা জুড়েই শিশুদের শ্রমিক হিসেবে কাজ লাগানো হয়। ঠিক মতো অভিযানে নামলে বহু শিশু শ্রমিক উদ্ধার হবে।

হোটেল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এই ভাবে শিশু শ্রমিকদের উদ্ধার ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায় এলাকা জুড়ে। কারণ বিড়ি মহল্লায় শিশুদের দিয়ে কাজ করানোর রেওয়াজ বহু দিনের। বলতে গেলে কেউ এ সব দেখেও দেখেন না।

তৃণমূলের সাংসদ ও বিড়ি মালিক খলিলুর রহমান অবশ্য বলছেন, “শিশু শ্রমিক নিয়োগ সম্পূর্ণ বেআইনি। বিড়ি শিল্পে এই ধরনের শ্রমিক নেই। বিড়ি বাঁধা হয় শ্রমিকদের বাড়িতে। সেখানে বাবা মাকে সাহায্য করতে টুকটাক কাজ করে শিশুরা। কোনও কারখানায়, হোটেলে শিশুদের দিয়ে কাজ করানো যায় না।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Murshidabad
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE