Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

Coronavirus in West Bengal: করোনা আক্রান্ত ১ বছরের শিশু

জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যদিও নতুন করে কোনও শিশু মৃত্যুর খবর নেই।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সুস্মিত হালদার
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৫:২৩
Share: Save:

জ্বরে আক্রান্ত হয়ে জেলা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া অনেক শিশুর ক্ষেত্রে করোনার পরীক্ষা করা শুরু হয়েছে। যদিও এখনও পর্যন্ত একটি মাত্র শিশুর শরীরে করোনাভাইরাসের সন্ধান মিলেছে বলে জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই শিশুর বয়স মাত্র ১ বছর।

শিশুদের মধ্যে করোনা দেখা দেওয়ার বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতরকে ভাবাতে শুরু করেছে। জেলা হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, জ্বরে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। যদিও নতুন করে কোনও শিশু মৃত্যুর খবর নেই।

জেলা হাসরপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, নিওনেটাল বিভাগে ১৮টি শয্যা আছে। সেখানে শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে করা হয়েছে ২৪টি। শনিবার সেখানে প্রায় ৪৬টি শিশু ভর্তি আছে। পাশাপাশি স্টেপ ডাউন ওয়ার্ডেও তাদের রেখে দিয়ে চিকিৎসা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পেডিয়াট্রিক বি‌ভাগে শয্যা সংখ্যা ৭৭টি। সেখানেও শনিবার প্রায় ৮৯টি শিশু জ্বর নিয়ে ভর্তি আছে। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই বাধ্য হয়ে একটি শয্যায় একাধিক শিশুকে রাখতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।

গত সাত দিনে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে জেলা হাসপাতালে ১৯টি শিশু ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে ০-১ বছর বয়সী শিশুর সংখ্যা ১২৪টি আর ১ বছরের বেশি বয়সের শিশুর সংখ্যা ৬৯। গত ৪৮ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছে ৬৮টি শিশু।

শিশুদের করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর চিকিৎসকদের ভাবাতে শুরু করেছে। জেলা হাসপাতালে এক শিশু চিকিৎসক বলছেন “শিশুরাই কিন্তু তৃতীয় ঢেউয়ে সংক্রমিত হবে। তার আভাস কিন্তু মিলতে শুরু করেছে। জেলা সদর হাসপাতালের জ্বর নিয়ে ভর্তি হওয়া ১ বছর বয়সের এক শিশুর শরীরে করোনাভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। তবে শিশুটি ভাল আছে।’’

চিকিৎসকরা বলছেন, জ্বরে আক্রান্ত যে সব শিশু কোনও করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছে বলে জানা যাচ্ছে তাদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পাশাপাশি যে সব শিশুর করোনার মতো উপসর্গ দেখা যাচ্ছে তাদেরও করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। শিশুদের করোনার র‌্যাপিড টেস্ট করা হচ্ছে। তাদের আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হলে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে পারে বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা। কারণ, অনেক ক্ষেত্রে র‌্যাপিড টেস্টে করোনা ধরা না-ও পড়তে পারে।

জেলা হাসপাতালের সুপার সোমনাথ ভট্টাচার্য বলছেন, “জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া শিশুরা যাতে উপযুক্ত চিকিৎসা পায় তার জন্য আমরা হাসপাতালের পরিকাঠামো আরও বাড়ানোর চেষ্টা করছি। এখনও আতঙ্কিত হওয়ার মতো কোনও কারণ ঘটেনি।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus COVID-19
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy