ফুলিয়ায় স্কুলচত্বরে চলছে অনুষ্ঠান। সোমবার। —নিজস্ব চিত্র।
পাশের মাঠে চড়া আওয়াজে বক্স ও মাইক বাজিয়ে প্রচুর লোকজন নিয়ে রামচন্দ্রের পুজো হচ্ছিল। অভিযোগ, তারই জেরে শিকেয় ওঠে কৃত্তিবাস স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ক্লাস। সোমবার দুপুরে টিফিনের সময়েই বন্ধ করে দিতে হয় পঠনপাঠন।
শান্তিপুর ব্লকের বেলগড়িয়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে কৃত্তিবাস-ভূমি বয়রায় সোমবার ফুলিয়া শ্রীরাম ভক্তবৃন্দের ব্যানারে রামচন্দ্রের পুজোর আয়োজন হয়েছিল। পুজোর সঙ্গে চলে কীর্তনও। বড় পর্দায় দেখানোর ব্যবস্থা ছিল অযোধ্যায় রামলালার প্রাণপ্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠান। চলে প্রসাদ বিতরণ। প্রচুর ভিড় যেমন হয়েছিল। বিজেপির অনেক নেতাকর্মীই সেখানে হাজির ছিলেন। সেখানে চড়া আওয়াজে মাইক ও বক্স বাজানো হয়েছে বলে অভিযোগ। স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোবিন্দ মুখোপাধ্যায় বলেন, "স্কুলের পাশের মাঠে এই অনুষ্ঠানের জেরে ক্লাস করতে সমস্যা হচ্ছিল। বাধ্য হয়ে টিফিন পিরিয়ডে ক্লাস বন্ধ করে দিতে হয়।"
স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের মাঠে অনুষ্ঠান করার জন্য কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। স্থানীয় বেলগড়িয়া ১ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান, তৃণমূলের তাপস ঘোষের কটাক্ষ, "পাঁচ বছর ধরে এখানে বিজেপির সাংসদ রয়েছেন। এখানকার উন্নয়নের জন্য কী করেছেন? এখন ভোট এগিয়ে আসায় সেখানে পুজো নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে।"
এ দিনের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রানাঘাটের সংসদ তথা রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি জগন্নাথ সরকার। তাঁর দাবি, "ওখানকার উন্নয়ন নিয়ে আমি অনেক বারই বলেছি। রাজ্যের তরফে কেন্দ্রের কাছে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা জমা দেওয়া হলে আমি চেষ্টা করব।” স্কুল চলাকালীন তারস্বরে মাইক বাজানো প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, “আমন্ত্রণ পেয়ে গিয়েছিলাম। কোনও সমস্যা হচ্ছে বলে আমাকে কেউ জানায়নি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy