আহত পড়ুয়া।
প্রার্থনা শেষে সবে শ্রেণিকক্ষে ঢুকেছিল ওরা। তখনও ক্লাসে শিক্ষক আসেননি। নিজেদের মধ্যেই কথা বলাবলি করছিল। এমন সময়েই বিপত্তি! আচমকাই মাথায় ভেঙে পড়ল সিলিং ফ্যান। শুক্রবার মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া গোবরগাড়া হাই মাদ্রাসার এই ঘটনায় গুরুতর জখম হল দুই ছাত্র। এক জনের মাথায় চোট লাগে। অন্য জন আঘাত পেয়েছে হাতে। দুই ছাত্রকেই হরিহরপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে খবর, এক জনের চোট গুরুতর।
সিলিং ভেঙে পড়ার ঘটনায় ক্লাসের অনেকেই চোট পেয়েছেন। কিন্তু ওই দু’জনের চোট গুরুতর বলেই অভিযোগ ওই ক্লাসের ছাত্রদের। ওই ক্লাসের আহত ছাত্র সামিউল বলে, ‘‘ক্লাস শুরু আগে হঠাৎই ভেঙে পড়ে ঘরের সিলিং ফ্যানটি। ক্লাসের অনেকেই আঘাত পেয়েছে। কিন্তু গুরুতর আঘাত পেয়েছে দু’জন।’’ পড়ুয়াদের একাংশের দাবি, স্কুলের সিলিং ফ্যানগুলি অনেক দিন ধরেই ঠিকঠাক ভাবে চলছিল না। স্কুল কর্তৃপক্ষকে বার বার বলা সত্ত্বেও তা শোনা হয়নি। এই ঘটনায় উত্তাল হয়েছে স্কুল চত্বর।
খবর পেয়ে স্কুলে ছুটে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অভিভাবকেরা। অভিভাবক ইসরাফিল মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘স্কুলের ফ্যানগুলি অনেক পুরনো। এর আগে স্কুল পরিচালন সমিতির বৈঠকে এই ব্যাপারে জানানো হয়েছিল। সেই কথা যে কেউ পাত্তা দেয়নি, তা এ দিনের ঘটনায় প্রমাণিত। শিক্ষকদের কারও ছেলে যদি এই স্কুলে পড়ত, তবে হয়তো ঠিক হত!’’
স্কুলের তরফে শিক্ষক মির মুজফফর হোসেন বলেন, ‘‘নবম শ্রেণির দুই ছাত্র আহত হয়েছে। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয়েছে। ফ্যানগুলি খতিয়ে দেখে মেরামতির ব্যবস্থা করা হবে।’’
দু’দিনে এই নিয়ে রাজ্যের তিন-তিনটে স্কুলে এমন ঘটনা ঘটল। বৃহস্পতিবারই মালদহের একটি স্কুলে শৌচাগারের দেওয়াল ভেঙে মৃত্যু হয় একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রের। এর পর শুক্রবার পুরুলিয়ার একটি স্কুলেও দেওয়াল ভেঙে ন’বছরের এক শিশুর প্রাণ গেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy