মোটর বাইকের হেডলাইটের আলো চোখে লাগা নিয়ে বচসা শুরু হয় দু’পক্ষের। কিছু ক্ষণের মধ্যেই বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। —প্রতীকী চিত্র।
শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বোমাবাজির ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের উত্তর অন্তরদীপা গ্রামে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পৌঁছেছে পুলিশ বাহিনী। গ্রামে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। উদ্ধার হয়েছে তাজা বোমা। আটক হয়েছেন তিন জন।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে উত্তর অন্তরদীপা গ্রামের একটি আমবাগানে তৃণমূলের একদল সমর্থক চড়ুইভাতি করছিলেন। সে সময় দলের অন্য গোষ্ঠীর ২ জন মোটরবাইকে করে ওই রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। অভিযোগ, মোটরবাইকের হেডলাইটের আলো চোখে লাগা নিয়ে বচসা শুরু হয় দু’পক্ষের। কিছু ক্ষণের মধ্যেই বচসা গড়ায় হাতাহাতিতে। তার কিছু ক্ষণ পর ওই এলাকায় ব্যাপক বোমাবাজি শুরু হয় বলে অভিযোগ।
এক পক্ষ অন্য পক্ষকে লক্ষ্য করে সকেট বোমা দিয়ে আক্রমণ করে। মুহুর্মুহু বোমার শব্দে কিছু ক্ষণের মধ্যেই শুনশান হয়ে যায় গোটা এলাকা। রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। তারপরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। বোমাবাজির ঘটনায় কেউ জখম না হলেও এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। এ দিকে রাতেই অন্তরদীপা গ্রাম থেকে ৬টি তাজা বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। বোমা নিষ্ক্রিয় করার জন্য খবর দেওয়া হয়েছে বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডকে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, তৃণমূল নেতা সেরাজুল ইসলাম এবং তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মোর্তাজ আলির গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিনের লড়াই। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে দু’ পক্ষের মধ্যেই উত্তেজনা বাড়ছিল। এর পর এই বোমাবাজির ঘটনা।
সেরাজুলের বৌমা মাবিয়া বিবির অভিযোগ, ‘‘আমাদের বাড়ির কেউ বোমাবাজির ঘটনায় যুক্ত নয়। আগামী পঞ্চায়েত ভোটে যাতে আমরা কেউ তৃণমূলের প্রার্থী হতে না পারি, তাই পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন পঞ্চায়েত সদস্য।’’ অন্য দিকে, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মোর্তজের দাবি, ‘‘আমরা তৃণমূলের রাজনীতি করি। কোনও হিংসায় বিশ্বাস করি না। আমাদের ছেলেদের বোমা মেরে খুনের চেষ্টা করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy