Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪

হামলায় জখম তৃণমূলের চার, ধৃত বিজেপি কর্মী

তৃণমূলের লোকজনের অভিযোগ, আলোচনা চলাকালীন কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তখনই রঞ্জনার স্বামী, ভাসুর, দেওর ও ভাসুরের ছেলের উপরে দা ও বাঁশ নিয়ে চড়াও হয় বিজেপির লোকজন।

হাসপাতালে সাগর। নিজস্ব চিত্র

হাসপাতালে সাগর। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৯ ০১:২৯
Share: Save:

মার খেয়ে গুরুতর জখম হয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী-সহ পরিবারের চার জন। অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। চাপড়ার এই ঘটনায় শম্ভু হালদার নামে বিজেপি কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতারও করেছে।

বুধবার রাতে চাপড়ার শিকরা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এই গ্রামের বাসিন্দা রঞ্জনা হালদার হাটখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন উপপ্রধান তথা বর্তমান তৃণমূল সদস্য। পঞ্চায়েত ভোটে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, একটা সময়ে গোটা গ্রামে তৃণমূলের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল। বিরোধী বলতে তেমন কেউ ছিল না। কিন্তু লোকসভা ভোটের পর থেকে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে। গ্রামবাসীর একটা বড় অংশ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন।

এই পরিস্থিতিতে বেশ কিছু দিন ধরেই গ্রামের ভিতরে চাপা উত্তেজনা তৈরি হচ্ছিল। দিন কয়েক আগে বিজেপি সমর্থক শ্যামল হালদারের বাড়ির কাচ কেউ ভেঙে দেয়। ওই ঘটনায় রঞ্জনার ভাসুরের বিরুদ্ধে চাপড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পরে অবশ্য নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বিষয়টি মিটে যায়। সেই মতো বুধবার রাতেও গ্রামের ভিতরে উভয় পক্ষ আলোচনায় বসে।

তৃণমূলের লোকজনের অভিযোগ, আলোচনা চলাকালীন কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তখনই রঞ্জনার স্বামী, ভাসুর, দেওর ও ভাসুরের ছেলের উপরে দা ও বাঁশ নিয়ে চড়াও হয় বিজেপির লোকজন। রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁদের প্রথমে চাপড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে রঞ্জনার স্বামী নাগর হালদার ও ভাসুর সাগর হালদারকে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে রেফার করা হয়। নাগর হালদারের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে রাতেই কলকাতায় নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করা হয়। নাগরের ভাই অর্জুন ও ভাইপো অজয় চাপড়া গ্রামীন হাসপাতালেই ভর্তি।

হাসপাতালে শুয়ে সাগর হালদার অভিযোগ করেন, “বিজেপির লোকেরা পুলিশের কাছে গাড়ির কাচ ভাঙার মিথ্যা অভিযোগ করল। তার পর আলোচনা করার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে হামলা করল। সবটাই পূর্ব পরিকল্পিত।” তৃণমূলের চাপড়া ব্লক সভাপতি জেবের শেখের দাবি, “ওই এলাকায় বিজেপি দাঁত বসাতে পারছে না। সেই কারণেই এ ভাবে পরিল্পনা করে আমাদের লোকেদের খুন করার চেষ্টা করল।” যদিও বিজেপির চাপড়া মণ্ডল সভাপতি প্রকাশ অধিকারী পাল্টা বলেন, “সদস্যের স্বামী ও তাঁর ভাইদের অত্যাচারে এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। এ দিন ওরাই প্রথম আমাদের লোকেদের উপরে চড়াও হয়েছিল। তার পরে প্রতিরোধ তৈরি হয়।”

অন্য বিষয়গুলি:

BJP TMC Panchayat Chapra Krishnanagar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy