এখনও সভার অনুমতি পেলেন না শুভেন্দু অধিকারী। — ফাইল চিত্র।
রানাঘাটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভার পাল্টা হিসেবে আজ, শুক্রবার ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠে সভা করতে আসার কথা শুভেন্দু অধিকারীর। যদিও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত বিজেপির এই সভার অনুমতি দেওয়া হয়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কিন্তু বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে, আগেভাগেই সভার অনুমতির জন্য আবেদন করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার রাতের মধ্যে অনুমতিপত্র হাতে পাওয়া সম্ভব হবে।
বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, শুভেন্দু যেহেতু অভিষেকের পাল্টা হিসেবে এই সভা করছেন, সে ক্ষেত্রে শেষ পর্যন্ত সভা করার অনুমতি না পেলে দলের মুখরক্ষা হবে না। ফলে, সভা নিয়ে একটা আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রানাঘাট পুলিশ জেলা সুপার কে কন্নন বলেন, ‘‘বেশ কিছু শর্তে ওই সভার অনুমতি দেওয়ার কথা রানাঘাট থানার আইসিকে বলা হয়েছে।’’ আবার, এ দিন রাত প্রায় আটটা নাগাদ নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তথা রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রাতের মধ্যেই সভার অনুমতি মিলবে।’’
প্রসঙ্গত, শহরের পূর্ব পাড়ে মিলন মন্দির মাঠে সভা করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মাঠের তুলনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি শুভেন্দু অধিকারীর সভার জন্য শহরের ফ্রেন্ডস ক্লাব মাঠ অনেকটাই ছোট। আবার, এই মাঠের আশপাশে বাস বা ছোট গাড়ি রাখার জন্য আলাদা মাঠ বা খালি জায়গা নেই। ফলে, শুভেন্দুর সভা ঘিরে শহরে তীব্র যানজটের আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সভার মাঠ বদলের কথা বিজেপি নেতাদের বেশ কয়েক বার বলা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপির পক্ষ থেকে বিকল্প মাঠের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। সভা ঘিরে কত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন থাকবে, কিংবা নিরাপত্তা ব্যবস্থাই বা কী করা হয়েছে? এই প্রশ্নের উত্তরে এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘সভার অনুমতি দেওয়ার পর বিষয়গুলি ঠিক হয়। এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত যেহেতু অনুমতি নিয়ে নির্দিষ্ট কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি, তাই পুলিশ মোতায়েন, আগাম বন্দোবস্তের মতো বিষয়গুলি বলা সম্ভব নয়।’’
বিজেপি সূত্রে খবর, ছোট মাঠে সভা করা নিয়েও বিজেপি নেতাদের মধ্যেও মতানৈক্য রয়েছে। জেলা সভাপতির কথায়, ‘‘সাংগঠনিক জেলার অধীনে থাকা ছ'টি ব্লকের নেতা, কর্মী-সমর্থকেরা সভায় অংশ নেবেন। প্রায় ২৫ হাজার মানুষের সমাগম ঘটবে। শতাধিক বাসে করে কর্মীরা সভায় আসবেন। সভায় শুধুমাত্র দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার নেতা, কর্মী-সমর্থকেরা থাকবেন।’’
যদিও সভা সফল করতে কর্মী-সমর্থকদের সভায় উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়ে সমাজমাধ্যমে প্রচার করেছেন নদিয়া উত্তর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস। তাঁর দাবি, ‘‘দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার কর্মসূচি হলেও আমরাও সভায় থাকব।’’ বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করে নদিয়া জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র বাণীকুমার রায় বলেন, ‘‘ওদের সভায় কারা উপস্থিত থাকবেন, কারা মাঠ ভরাবেন, তা নিয়ে ওদের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে। ছোট মাঠ ভরাতে জেলার বাইরে থেকেও ওরা লোক আনবে বলে শুনেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy