—প্রতীকী ছবি।
বিস্তর টানাপড়েনের পর আজ বুধবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে শাসক দলের জেলা কমিটি ঘোষণা হওয়ার কথা। ঘোষণা হতে পারে জলঙ্গি, নওদা, খড়গ্রাম ও মুর্শিদাবাদ শহর সভাপতির নামও। সূত্রের খবর, লাগাতার গোষ্ঠী কোন্দল কমাতে দু-পক্ষের মান রেখেই ভোটের আগে জেলা কমিটি ঘোষণা করা হবে। সেই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদকের পদ পেতে পারেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন, সহ-সভাপতি বৈদ্যনাথ দাসও।
তবে রাজনৈতিক মহলের ধারণা, নওদা বিধানসভা আসন নিয়ে মোশারফের দর কষাকষির ফয়সালা না হলে জেলা সভাধিপতির দলবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। জেলা কমিটিতে তাঁর স্থান পাওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আগে কমিটি ঘোষণা হোক তারপরেই যা বলার বলব।” নওদা ব্লকের দুই নেতা আবু তাহের ও মোশারফের ‘মধু’র সম্পর্কের কারণেই ওই ব্লকে ব্লক সভাপতির নাম দল চুড়ান্ত করতে পারেনি। তার বদলে ওই ব্লকে চেয়ারম্যান ও কনভেনরের পদ তৈরি করে গোষ্ঠী কোন্দল মেটানোর চেষ্টা করা হতে পারে বলে সূত্রের খবর। বিধায়ক সাহিনা মমতাজকে চেয়ারম্যান ও জুলফিকার আলি ভুট্টোকে কনভেনর করা হতে পারে।
জলঙ্গির সাহেবনগরে গুলি চালানোর ঘটনায় ব্লক সভাপতি তহিরুদ্দিন মণ্ডলের নাম জড়িয়ে গেলে দল থেকে তাঁকে বহিস্কার করা হয়। সেক্ষেত্রেও বিধায়ক রেজ্জাক আলি মণ্ডলকে চেয়ারম্যান ও প্রদীপ নন্দীকে কনভেনর পদের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে। তবে মুর্শিদাবাদ বিধানসভা কেন্দ্র নিয়ে প্রথমে তৃণমূল ভবনে তারপর মঙ্গলবার দলের ছয় মুখ্য নেতাদের সঙ্গে বিধায়ক ও ওই এলাকার গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে গোষ্ঠী বিবাদের জট না কাটলেও মুর্শিদাবাদ শহর সভাপতি হিসাবে বিধায়কের পছন্দের দিকেই পাল্লা ভারি বলেই দলের অন্দরের খবর। সেক্ষেত্রে তৃণমূল নেতা ইন্দ্রজিৎ ধরকেই ওই পদের জন্য বেছে নেওয়া হতে পারে বলে খবর।
যদিও শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত চুড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য রাজ্য নেতাদের সিলমোহরের অপেক্ষায় দল। করোনা আক্রান্ত হয়ে খড়গ্রাম উত্তর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মফিজুদ্দিন মণ্ডলের মৃত্যূর পর ওই পদটি খালি পড়ে রয়েছে। ওই পদটি পেতে পারেন মফিজুদ্দিন মণ্ডল ঘনিষ্ঠ পঞ্চায়েত সমিতির পুর্ত কর্মাধ্যক্ষ আবুল হাসনাৎ। ওই ব্লকের দলের প্রধান থেকে বিধায়কের সর্ব সম্মত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছিল জেলায়। তাদের দাবিকেই দল মান্যতা দিতে চলেছে বলে খবর।
পাশাপাশি দলের জেলা সহ সভাপতির পদ পেতে পারেন আর এক বিক্ষুব্ধ নেতা হুমায়ুন কবীরও। রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম ও হুমায়ুনের সম্পর্কের কথা রাজ্যের নেতাদেরও অজানা নয়। তবে হুমায়ুনকে জেলা কমিটিতে জায়গা দিয়ে দল রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলমকে ওই বিধানসভা আসনের প্রার্থী একপ্রকার ঘোষণা করেই দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
তৃণমূলের এখন চিন্তা দলের নিচু স্তরের কর্মীদের কথা কতটা মান্য করা হবে। কেননা, ভোটে তাঁরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন। দলের জেলা সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, “পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি ঘোষণা করা হবে। পদ নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে। দল দলের নিয়মে চলবে। ”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy