Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

হোটেলেই খুন মালিক 

নাজিমুলের স্ত্রী জাহান্নারা বৃহস্পতিবার সকালে বহরমপুর থানায় ওই হোটেলরই অন্য  অংশীদারদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন। 

তদন্তে পুলিশ: বৃহস্পতিবার বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র

তদন্তে পুলিশ: বৃহস্পতিবার বহরমপুরে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৯ ০৩:০৭
Share: Save:

নিজের হোটেলেই খুন হলেন মালিক।

বুধবার গভীর রাতে বহরমপুরের পঞ্চাননতলা এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ওই হোটেলের মধ্যেই নাজিমুল শেখ (৪০) নামে ওই হোটেল মালিকের রক্তাক্ত দেহ মেলে। পুলিশ জানিয়েছে, লোহার রড কিংবা ওই জাতীয় ভারী কিছু দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে তাঁকে।

মৃতের বাড়ি বহরমপুরের কুদবাপুকুরে। নাজিমুলের স্ত্রী জাহান্নারা বৃহস্পতিবার সকালে বহরমপুর থানায় ওই হোটেলরই অন্য অংশীদারদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন।

বহরমপুর থানার আইসি সনৎ দাস বলেন, ‘‘খুনের অভিযোগ পাওয়ার পরেই তদন্ত শুরু হয়েছে। শীঘ্রই অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করা হবে।’’ তাঁর দাবি, প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে হোটেলের টাকার ভাগ নিয়ে ওই খুন। তবে, তদন্তকারীদের সন্দেহ থেকে বাদ যাচ্ছে না মহিলাঘটিত কোনও কারণও। পুলিশ জানিয়েছে, সব দিক খতিয়ে দে‌খা হচ্ছে।

পঞ্চাননতলায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে সরকারি জমিতে ‘হোটেল সঙ্গী’ নামে ওই হোটেল গড়ে উঠেছে বছর কয়েক হল। প্রায় ৫০ বর্গফুট আয়তনের ছোট ছোট খান ছয়েক ঘর। পুলিশ জানিয়েছে, শঙ্করলাল অধিকারী মাসিক ৭ হাজার টাকায় সম্প্রতি ভাড়া দিয়েছেন হোটেলটি। মাস খানেক আগে আরও কয়েকজনের সঙ্গে হোটেলের অংশীদার হন ওই হোটেলেরই এক সময়ের কর্মী নাজিমুল।

ওই হোটেলের পিছনেই থাকেন শঙ্করলাল অধিকারী। তাঁর দাবি, ‘‘হোটেলে কোনও অবৈধ কাজকর্ম হত কিনা জানি না। বুধবার রাতের কী ঘটেছিল জানতে পারিনি। এ দিন সকালে পুলিশের মুখ থেকে খুনের কথা জানতে পারি।’’

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, টাকা পয়সা নিয়ে বিবাদ কিংবা মহিলাঘটিত কারণে নাজিমুল হোটেলের অংশীদার বহরমপুরের পাকুড়িয়ার ফিরোজ শেখের সঙ্গে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়েছিলেন। অভিযোগ, রড, লাঠি নিয়ে নাজিমুলকে বেধড়ক পেটানো হয়। তাতেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর।

নাজিমুলের স্ত্রী জাহান্নারা বেওয়া বলছেন, ‘‘মাস খানেক আগে এক লক্ষ টাকা দিয়ে এই হোটেলের অংশীদার হন স্বামী। ফিরোজ শেখ-সহ আরও কয়েক জনের সঙ্গে হোটেলটি চালাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ি থেকে বহরমপুর আসার পর নাজিমুল বাড়ি ফেরেননি। শুনেছি বুধবার বিকেলে ফিরোজের সঙ্গে টাকা পয়সা নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। এ দিন রাতে ফোন করছে না দেখে ফোন করি, দেখি সুইচ অফ। রাত তিনটে নাগাদ এক মহিলা ফোন করে আমাকে বলেন স্বামী দুর্ঘটনায় জখম হয়েছে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Berhampur Murder Hotel
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy