প্রতীকী ছবি।
কেন্দ্রীয় বাজেটে বিড়ি শ্রমিকদের আয় বাড়াতে কোনও বাড়তি ঘোষণা কি থাকবে? প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়া তারাপুরের কেন্দ্রীয় বিড়ি শ্রমিক হাসপাতালের অচলাবস্থা কাটাতে বরাদ্দ হবে কি বাড়তি অর্থ?
শুক্রবার জঙ্গিপুরের বিড়ি মহল্লা জুড়ে শ্রমিক, মালিক, রাজনৈতিক নেতাদের মুখে ঘুরে ফিরে এসেছে এই প্রশ্নগুলোই। এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে ২০ লক্ষ বিড়ি শ্রমিক রয়েছেন। যার মধ্যে ৭ লক্ষই জঙ্গিপুর মহকুমায়।
সিটুর বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের রাজ্য সভাপতি আবুল হাসনাত খান বলছেন, “বছরে বিড়ি শিল্পে শুধু জঙ্গিপুর এলাকা থেকেই আদায় হয় দেড় হাজার কোটি টাকার জিএসটি। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারি কল্যাণ প্রকল্পে বাড়তি কোনও সুবিধা পান না বিড়ি শ্রমিকেরা।’’ তিনি জানান, বিড়ি শিল্পে জড়িত শ্রমিকেরা স্বাস্থ্য সমস্যায় জর্জরিত। ধুলিয়ানের তারাপুরে নিজস্ব বিড়ি শ্রমিক হাসপাতাল থাকলেও চিকিৎসা ব্যবস্থা বলে কিছুই নেই।
জঙ্গিপুরের সাংসদ তৃণমূলের খলিলুর রহমান এদিন দিল্লিতে। বলছেন, “বিড়ি শিল্পে কাজ কমেছে ২৮ শতাংশ জিএসটির কারণে। এর প্রভাবে উৎপাদন কমেছে। শ্রমিক কল্যাণ খাতে সে ভাবে বরাদ্দ বাড়েনি। সেক্ষেত্রে বিকল্প রুজির দিকে এগোতে হবে ধীরে ধীরে। কেন্দ্রীয় সরকারকেই তার পথ খুঁজতে হবে। কিন্তু তার কতটা কী হবে তা বলা যাচ্ছে না।” রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনও বলেন, “কেন্দ্রীয় বাজেটে বিড়ির উপর জিএসটি কমাতে হবে। আলাদা ভাবে বিড়ি শ্রমিকদের জন্য কল্যাণ খাতে বরাদ্দ বাড়াতে হবে। কিন্তু বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সে আশা করি না।” আইএনটিইউসি-র রাজ্য বিড়ি শ্রমিক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বাদশার আলি বলছেন, “এমনিতেই কেন্দ্র বিড়ি শ্রমিক কল্যাণ খাতে বরাদ্দ বন্ধ করে দিয়েছেন। তাই বাজেট নিয়ে আশাবাদী নই। ”
তবে বিজেপির রাজ্য সহ সভাপতি মাফুজা খাতুন বলছেন, “বাজেটে এ বার একেবারে দরিদ্র শ্রেণির মানুষদের জন্য ভাল কিছু প্রকল্পের কথা থাকবে, বিড়ি শ্রমিকেরাও তা থেকে অনেক সুবিধে পাবেন। স্বাস্থ্য ও শিক্ষা দুটি ক্ষেত্রেই বরাদ্দ বাড়বে বলে আশাবাদী আমরা।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy