ন্যাশনাল স্কুল গেমে আয়ুশ ভৌমিক। ছবি: প্রণব দেবনাথ।
ছোটখাটো চেহারার ছেলেটির যোগাসন দেখে মুগ্ধ ন্যাশনাল স্কুল গেমসের বিচারকমণ্ডলী। জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় তিনটি পৃথক বিভাগে সোনা, রুপো এবং ব্রোঞ্জ পেয়েছে নবদ্বীপের সেই আয়ুশ ভৌমিক। ২০২৩ সালে ‘খেলো ইন্ডিয়া’র পর আবার জাতীয় পর্যায়ে বড় সাফল্য পেল আয়ুশ। এ বারের ন্যাশনাল স্কুল গেমসে সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট পেয়ে দেশের মধ্যে দলগত চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলা।
গত ১-৪ ফেব্রুয়ারি রাজস্থানের জয়পুরে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত ৬৭তম ন্যাশনাল স্কুল গেমসে অনূর্ধ্ব ১৪ বছর বিভাগে ট্র্যাডিশনাল সিঙ্গলে সোনা, রিদমিক সিঙ্গলে রুপো ও ট্র্যাডিশনাল গ্রুপে ব্রোঞ্জ পদক জিতেছে আয়ুশ। দেশের ৩০টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের বিভিন্ন স্কুলের ৩৭৪ জন স্কুলপড়ুয়া প্রতিযোগিতায় যোগ দিয়েছিল। জ়োনাল বা আঞ্চলিক পর্যায় থেকে যোগ্যতামান অর্জন করা পড়ুয়াদের নিয়ে প্রতিযোগিতা হয় জয়পুরে ভারত সরকারের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে। তাতে বাংলা থেকে পাঁচ জন করে ছেলেমেয়ে নিয়ে ১০ সদস্যের দল যোগ দিয়েছিল।
নবদ্বীপ হিন্দু স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আয়ুশের বাড়ি পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের রানির চড়ায়। বাবা ভোলানাথ ভৌমিক সেলাইয়ের কাজ করেন। আর্থিক অনটনের মধ্যেও ছেলের অনুশীলনে আঁচ লাগতে দেন না মা পিঙ্কি ভৌমিক। গত সেপ্টেম্বরে জ়োনাল এবং জেলা স্তরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে রাজ্য স্তরে যায় আয়ুশ। নভেম্বরে হয় রাজ্য পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। তাতে ট্রাডিশন্যাল ও রিদমিক বিভাগে প্রথম হয়ে জাতীয় প্রতিযোগিতার জন্য বাংলা দলে নির্বাচিত হয় আয়ুশ।
পিঙ্কি জানান, বর্তমানে আয়ুশ দু’জনের কাছে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। ত্রিবেণীর স্বপ্না পালের কাছে সপ্তাহে দু’দিন যেতে হয় আর ভিয়েতনাম থেকে সৌমেন দাস বড় প্রতিযোগিতার আগে অনলাইন প্রশিক্ষণ দেন। পিঙ্কির আক্ষেপ, “আধুনিক অনুশীলনের সরঞ্জাম নেই। বাইরে কোথাও যেতে হলেই অনুশীলন বন্ধ রেখে লোকের দরজায় সাহায্যের হাত পাততে হয়। যদি সরকারি ভাবে কিছু সহায়তা পাওয়া যেত, আয়ুশ হয়তো আরও বড় সাফল্য পেত।”
কোর্টের নির্দেশে
গ্রেফতার দুই
অশোকনগর: আদালতের নির্দেশে পৃথক দু’টি ঘটনায় অভিযুক্ত দু’জনকে রবিবার রাতে গ্রেফতার করল অশোকনগর থানার পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতেরা হল অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় ও সুমন দাস। দু’জনেরই বাড়ি অশোকনগরে। অরিন্দমের বিরুদ্ধে তাঁর স্ত্রী ২০১৭ সালে খোরপোষের মামলা করেন। আদালত খোরপোষ দেওয়ার কথা বললেও অনিন্দ্য সেই নির্দেশ অমান্য করেন বলে অভিযোগ। অন্যদিকে, সুমনের বিরুদ্ধে গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে তাঁর স্ত্রী বধূ নির্যাতনের মামলা করেন। সেই মামলায় সুমন আদালতে হাজির হননি। বিচারকের নির্দেশ অমান্য করায় তাঁকে আদালতে হাজির করানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়। বারাসত আদালতের বিচারক দু’জনের বিরুদ্ধেই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy