—প্রতীকী চিত্র।
সুতিতে গুলি করে এক যুবককে খুনের ঘটনায় আরও এক জনকে শমসেরগঞ্জের রতনপুর থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। নাম জাহাঙ্গির আলম। এই খুনের ঘটনায় একটি পিস্তল ও ৮ রাউন্ড গুলির জোগান দিয়েছিল জাহাঙ্গির। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত সৌমেন দাস ৪৫ হাজার টাকা দিয়ে জাহাঙ্গিরের কাছ থেকে ওই পিস্তল ও গুলি কিনেছিল বলে পুলিশের দাবি। এই নিয়ে প্রবীর দাস খুনে প্রবীরের স্ত্রী রাখি দাস সহ ৫ জনকে গ্রেফতার করল সুতি থানার পুলিশ।
পুলিশের ধারণা, আপাতত তদন্ত শেষ। ধৃত ৫ জনের কাছ থেকে ৫টি মোবাইল পুলিশ আটক করেছে। এই মোবাইল থেকেই খুনের সুপারি হিসেবে ফোন পে মারফত সৌমেন সুদীপকে টাকা পাঠায়। সেই টাকা ফোন পে মারফত সুদীপ পাঠায় সুপারি কিলার আজমাউরকে। এমনকি স্বামীকে খুনের সময় প্রবীরের স্ত্রী দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলে সৌমেনের সঙ্গে। পুলিশ সব ডিজিটাল তথ্যকে সামনে এনেই এই ঘটনায় ধৃতদের জেলে রেখেই বিচার শেষ করতে চাইছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে পরিকল্পনা করেই প্রবীরকে খুন করিয়েছে স্ত্রী রাখি ও তার প্রেমিক সৌমেন। এর জন্য প্রায় এক মাস আগে সৌমেন একটি পিস্তল ও ৮ রাউন্ড গুলি শমসেরগঞ্জের জাহাঙ্গিরের কাছ থেকে কিনে আনে সে ৪৫ হাজার টাকায়। পিস্তলটি রাখিকে দেখায়ও সৌমেন। এরপর সৌমেন গ্রামেরই বন্ধু সুদীপকে বলে একজন ভাড়াটে খুনি ঠিক করে দিতে। সেই সময় সুদীপের বাড়িতে টাইলসের মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করছিল সুতির খানাবাড়ির আজমাউর। সুদীপের কথায় প্রবীরকে খুন করতে রাজি হয়ে যায় সে। কারণ জাহাঙ্গির সুদীপকে বলে প্রবীরদের যে আমবাগান রয়েছে তা লিজ নেওয়ার সময় তার সঙ্গেও অশান্তি হয় প্রবীরের। ৩০ হাজার টাকায় রফা হয়। সৌমেন আজমাউরকে পিস্তল ও গুলি দেয়। খুন করার কথা ছিল দিন দশেক আগেই। কিন্তু তারপরেও, আজ নয় কাল বলে আজমাউর কাজটা করছিল না। একাধিক বার তাদের মধ্যে কথা হয় ফোনে। পরে ঠিক হয় মঙ্গলবার রাতে কাজ সারবে আজমাউর। সেই মতো সেদিন দুপুরে আজমাউরকে ওই মুরগির খামারের কোন ঘরে প্রবীর থাকে সেটাও চিনিয়ে দেওয়া হয়। পুলিশ তদন্তে জেনেছে, রাতে আজমাউর নিজেই মুরগি খামারে গিয়ে গুলি করে মারে প্রবীরকে।
ঘটনার দিন রাতেই পুলিশ জানতে পারে সৌমেনের সঙ্গে প্রবীরের স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা। তার কথা মতো ধরে আনা হয় সুদীপকে। সুদীপ জানায় আজমাউরের কথা। রাতেই বাড়ি থেকে তুলে আনা হয় আজমাউরকে। পরে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয় নিহত প্রবীরের স্ত্রী রাখিকে। বৃহস্পতিবার সাত সকালেই শমসেরগঞ্জের রতনপুরে তার বাড়ি থেকে তুলে আনে পুলিশ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি বিক্রেতা জাহাঙ্গিরকে।
পুলিশ সূত্রে দাবি, পুলিশের কাছে তার বাড়িতেই খুনে ব্যবহৃত পিস্তল ও ৫টি অবশিষ্ট গুলি থাকার কথা স্বীকার করেছে আজমাউর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy