শরীরচর্চায় ব্যস্ত সীমান্তবর্তী গ্রামের মহিলারা। —নিজস্ব চিত্র।
‘বাটার ফ্লাই’, ‘চেস্ট প্রেস’, ‘ফান রাইডার’, ‘তাইছি স্পিনার’— শরীরচর্চার নানা রকম যন্ত্রপাতি ছড়িয়ে রয়েছে মাঠের মাঝে। আর সেই যন্ত্রপাতি দিয়েই শরীরচর্চায় ব্যস্ত রোকেয়া, অনিতারা। মহিলাদের শরীরচর্চার বিষয়ে জোর দিতেই এমন উদ্যোগ নিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বাহিনীর এই উদ্যোগে বেজায় খুশি সীমান্তবর্তী এলাকার স্থানীয় মহিলারা। শুধু তা-ই নয়, মহিলাদের শৌচালয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
গেদে কাদিপুর এবং টুঙ্গির সীমান্ত ফাঁড়ির কাছে একটি মাঠের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে ‘ওপেন এয়ার জিম’। অর্থাৎ খোলা আকাশের নীচেই শরীরচর্চার বন্দোবস্ত। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ৩২ নম্বর ব্যাটালিয়নের উদ্যোগেই মহিলাদের জন্য এই শরীরচর্চার আখড়া তৈরি হয়েছে। বিসএফের এই উদ্যোগে বেজায় খুশি সীমান্তবর্তী এলাকার তিনটি গ্রামের স্থানীয় মহিলারা।
নতুন জিমে শরীরচর্চা করার সুযোগ পেয়ে খুশি আট থেকে আশি। ৭০ বছরের বৃদ্ধা রানি সরকার বলেন, ‘‘সীমান্ত এলাকায় মেয়েরা এমনিতেই একটু আতঙ্কে থাকেন। মূল জনপদের থেকে খানিকটা বিচ্ছিন্নও বটে। আমরা যখন কম বয়সি ছিলাম, সে সময় পাঁচ জন মহিলা একসঙ্গে বসার উপায় ছিল না। আজ জীবদ্দশায় বিএসএফের এই উদ্যোগ দেখে খুব খুশি।’’ শুধু মহিলা নন, এই উদ্যোগে খুশি গ্রামের পুরুষেরাও। স্থানীয় বাসিন্দা মহাদেব বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব ভাল নয়। অনেক সময় মাঠের কাজে সাহায্য করার জন্য বাড়ির মেয়েরা যেতে বাধ্য হন। তাঁদের সম্মান রক্ষার জন্য এ হেন উদ্যোগের অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল।’’
৩২ নম্বর ব্যাটালিয়ানের কম্যান্ডিং অফিসার সুজিতকুমার জানান, সীমান্ত রক্ষী বাহিনী সবসময়ই সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে চলার চেষ্টা করে। সীমান্তের গ্রামগুলোকে সমৃদ্ধ করে দেশের সুরক্ষা সুনিশ্চিত করা বিএসএফের প্রধান লক্ষ্য।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy