Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

নিয়ম মানা না ভাঙা, ফের পরীক্ষা আজ

গত বুধবার, সপ্তাহের প্রথম লকডাউনের দিন অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাসের উৎসব করেছিল বিজেপি।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২০ ০৪:৫৩
Share: Save:

লকডাউনে লুকোচুরি বললে কম বলা হয় না! অন্তত, গত মাসে নবান্নের ঘোষণার পরে রাজ্য জুড়ে সাপ্তাহিক লকডাউনে মুর্শিদাবাদ জেলার ক্ষেত্রে ‘লুকোচুরি’ লব্জটাই যথাযথ বলে মনে করছেন বিরোধীরা। বহরমপুরের একটি পরিচিত কলেজের অধ্যক্ষের কথায়, ‘‘একে লুকোচুরি ছাড়া আর কী-ই বা বলা যায়! পুলিশ কোন রাজনৈতিক দলের বিধি ভঙ্গের ক্ষেত্রে নরম হবে কার ক্ষেত্রে গরম তাই ঠিক করতে পারছে না।’’ শনিবার, সপ্তাহের দ্বিতীয় লকডাউনের দিন আইন রক্ষকদের সেই ভূমিকার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে জেলার মানুষ।

গত বুধবার, সপ্তাহের প্রথম লকডাউনের দিন অযোধ্যায় রামমন্দিরের শিলান্যাসের উৎসব করেছিল বিজেপি। লাড্ডু বিলি থেকে রাস্তায়, পাড়ার মোড়ে পুজো, বাচ্চাদের রাম সাজিয়ে পরিভ্রমণ, বাদ যায়নি কিছুই। পুলিশ তা দেখেও দেখেনি। পরের দিন বৃহস্পতিবার, বহরমপুরের টেক্সটাইল মোড়ে দূরত্ব বিধির তোয়াক্কা না করে দলে ফেরা হুমায়ুন কবীরকে নিয়ে হাজার কয়েক কর্মী-সমর্থকের সমাবেশ করে তৃণমূল। এ ক্ষেত্রেও নীরব থাকে পুলিশ। এখন দেখার, শনিবার পুলিশের সেই নীরবতা বজায় থাকে কিনা। নাকি আম জনতার ক্ষেত্রে আইন প্রণয়নে তৎপর হয়ে উঠবে পুলিশ। যা নিয়ে সাধারন সচেতন মানুষের পাশপাশি উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্য কর্তারাও। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলছেন, ‘‘এই সময়ে নিয়মটা বেশি করে মেনে চলা উচিৎ। রাজনৈতিক দলগুলো মানুষকে সে শিক্ষা দিচ্ছে কোথায়, সাধারন মানুষ তা হলে কী শিখবে! মনে রাখবেন, সাধারনের জমায়েতেই নয়, করোনা রাজনৈতিক সমাবেশকেও রেয়াত করে না।’’ জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস মনে করিয়ে দিচ্ছেন, “লকডাউন জরুরী। নিয়ম ভেঙে পথে বের হলে লকডাউনের উপকারিতা পাওয়া যাবে কী করে?”

ইতিমধ্যে করোনা সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে সদর শহর বহরমপুর। শনিবার ছুটির দিন, কিন্তু ছুটির আমেজ নিয়ে সে দিন পথে ঘাটে বেশি মানুষের ভিড় জমলে যে আখেরে জেলার বাসিন্দাদের ক্ষতি সেটাই মনে করিয়ে দিতে চাইছেন স্বাস্থ্য কর্তারা। জরুরি পরিষেবা বাদ দিয়ে নিয়মমত আজ। বন্ধ থাকার কথা বাজার থেকে মুদিখানা সব। কিন্তু শনিবারও কি গত দু’দিনের মতোই বিধিভঙ্গে নিশ্চুপ থাকবে পুলিশ? জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “রাজনৈতিক দলগুলো নিজেরাই নিয়ম ভাঙলে তো সাধারণ মানুষের সেই নিয়ম ভাঙার কাজটা সহজ হয়ে যায়। কাঁহাতক আর চোখ রাঙানো যায়?” জেলা প্রশাসনের এক কর্তা স্মিত হেসে বললেন, “মানুষ নিয়ম মানবে কি না, প্রশ্নটা সহজ আর উত্তরটাও জানা, দেখা যাক।”

অন্য বিষয়গুলি:

West Bengal Lockdown Berhampore
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy