নিজস্ব চিত্র।
প্রার্থীরা পার্টি অফিসে বসে বসে। রাত জেগে তাঁদের পাহারা দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। শুক্রবার কংগ্রেসের দুই প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ার পরেই বাকি প্রার্থীদের পার্টি অফিসে ডেকে এনে সেখানেই রাত কাটালেন বহরমপুরের সাংসদ অধীর। এর পরেই শনিবার বহরমপুরে কংগ্রেস কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে অধীর বলেন, ‘‘প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘটনা শুনে আমি সবাইকে বললাম পার্টি অফিসে চলে আসতে। প্রার্থীদের সঙ্গেই রাতে পার্টি অফিসে ছিলাম আমি।’’
অধীরের অভিযোগ, জোর করে কংগ্রেস প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করানো হয়েছে। অধীরের কথায়, ‘‘এখানে পুলিশ আর আইপ্যাক নির্বাচনকে নিয়ন্ত্রণ করছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভুল রিপোর্ট পাঠিয়ে বিভ্রান্ত করছে পুলিশই।’’
শুক্রবার সকালেই অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে জেলা প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছেন ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসপ্রার্থী তপনকুমার বিশ্বাস। তিনি জানান, শারীরিক ভাবে অসু্স্থ তিনি। ডাক্তারের পরামর্শ মেনেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এর পরেই বহরমপুরের টাউন সভাপতি তথা ওই পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেসপ্রার্থী নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি গিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন তপন। অন্য দিকে, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের কংগ্রেস প্রার্থী কার্তিক হাটুই-ও যোগ দিয়েছেন জোড়াফুল শিবিরে। প্রার্থীকে অপহরণ করা হয়েছে বলে কংগ্রেসের তরফে অভিযোগ উঠলেও তৃণমূলে যোগদানের পর কার্তিক নিজেই জানান, স্বেচ্ছায় যোগ দিয়েই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন তিনি।
কংগ্রেস প্রার্থীদের শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোটে লড়তে না দেওয়ার অভিযোগে শনিবার জেলা পুলিশ সুপারের অফিসের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন অধীর। কর্মীদের নিয়ে অফিসের সামনেই বসে পড়েন তিনি।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের জেলার নেতা অশোক দাস বলেন, ‘‘কংগ্রেসের পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। ওঁরা এখন ভোট পাবে না। আমরা ২৮টি আসনেই জিতব। জেলা থেকে কংগ্রেস মুছে গিয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy