লালবাগ উপ-সংশোধনাগারে অধীর চোধুরী। —নিজস্ব চিত্র।
রানিনগরকাণ্ডে ধৃত নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে লালবাগ উপ-সংশোধনাগারে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কিন্তু খালি হাতে ফিরতে হল বহরমপুরের সাংসদকে। ধৃতদের সঙ্গে তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে জেল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুললেন অধীর। নেতাকর্মীদের বন্দি অবস্থা নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন। অধীরের দাবি, তাঁর সঙ্গে আইনজীবী থাকলেও তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। আর ধৃত নেতাকর্মীদের এমন ভাবে রাখা হয়েছে, তাঁরা যেন কোনও জঙ্গি! এর প্রেক্ষিতে পুলিশের বিরুদ্ধে হাই কোর্টে মামলা করারও হুঁশিয়ারি দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি।
মুর্শিদাবাদের রানিনগরের কংগ্রেস কর্মীসমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধে মোট ৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে তাঁরা লালবাগ উপ-সংশোধনাগারে বন্দি রয়েছেন। মঙ্গলবার অধীর তাঁর সঙ্গে আইনজীবীকে নিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু জেল কর্তৃপক্ষ অধীরদের সেই অনুমতি দেননি। অ নিয়ে ক্ষুব্ধ অধীর বলেন, ‘‘আমার সঙ্গে যে আচরণ করা হল, তাতে মনে হচ্ছে আমি কাশ্মীরে কোনও সন্ত্রাসবাদীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম! আগে থেকেই জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও উকিলের সঙ্গে বাইরে থেকে দাঁড়িয়ে কথোপকথন করতে হল।’’ এর পর পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অধীর বলেন, ‘‘অনেক আইএএস, আইপিএসকে প্রতি দিন দেখি। কিন্তু এখানকার আইএএস, আইপিএসদের মতো দালালি করতে কাউকে দেখিনি।’’ এর পর পুলিশের বিরুদ্ধে উচ্চ আদলতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অধীর। তিনি বলেন ‘‘আমার সহযোগীদের ছাড়াব। যারা যারা সেই রাতে আমাদের উপর অত্যাচার করেছে তাদের বিরুদ্ধে কোর্টে যাব। আমরা ছেড়ে কথা বলব না।’’
প্রসঙ্গত, কংগ্রেস ও বাম সমর্থকদের মারধর করা হয়েছে— এমন অভিযোগ ওঠায়, ওই দুই দলের আক্রমণে শুক্রবার বিকেলে রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের রানিনগর থানা চত্বর। থানা ও তৃণমূলের একটি দলীয় দফতর ভাঙচুর করা হয়। তৃণমূল দফতরের আসবাবপত্র বাইরে এনে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে হয় ধস্তাধস্তিও। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশ পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অধীরের অভিযোগ, ‘‘শান্তিপূর্ণ সভায় ইচ্ছাকৃত ভাবে প্ররোচনা দিয়েছে পুলিশ ও তৃণমূল।’’
রানিনগরে সংঘর্ষ এবং অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা কংগ্রেস নেতা-সহ মোট ৩৬ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের লালবাগ আদালতে হাজির করানো হলে সকলকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy