বহরমপুর বাইপাস। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।
এক দিকে লালগোলা-শিয়ালদহ রেলপথ চলে গিয়েছে বহরমপুর শহরের উপর দিয়ে। অন্য দিকে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক বহরমপুর শহরকে আড়াআড়ি ভাবে ভাগ করে দিয়েছে। যার জেরে বহরমপুর শহরে যানজট লেগেই থাকে। সে জন্য অনেকেই বহরমপুরকে যানজটের শহর বলে থাকেন। আর সেই যানজট রুখতে বছর পনেরো আগে বহরমপুর শহর থেকে চার কিলোমিটার দূরে বলরামপুর থেকে বাইপাস রাস্তার কাজ শুরু হয়েছিল। নানা জটিলতা কাটিয়ে চার লেনের বাইপাসের দু’টি লেনের কাজ শেষ হয়েছে। ইতিমধ্যে বিশেষ প্রয়োজনে বাইপাসের দুটি লেন দিয়ে দু’একদিন যান চলাচলের অনুমতিও দিয়েছে। দুর্গাপুজোর সময় যানজট রুখতে কী বাইপাস রাস্তা খুলে দেওয়া হবে? সেই প্রশ্ন ঘোরা ফেরা করছে জেলা জুড়ে। তবে বুধবার বহরমপুরের কৃষ্ণমাটিতে বহরমপুর বাইপাস রাস্তার পরিদর্শনে এসে বহরমপুরের সাংসদ তথা লোকসভার কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘অন্তত দুর্গাপুজো কালীপুজোর সময় বাইপাসের একটি দিক দিয়ে মানুষের চলাচল করতে অসুবিধা না হয় সেটা আমি নিশ্চিত করিয়েছি।’’
বুধবার বিকেলে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের মালদহ ডিভিশনের প্রকল্প আধিকারিক সঞ্জয় চান্না বলেন, ‘‘কাজ শেষ হলেই বাইপাস রাস্তা চালু হবে। দু’টি লেনের কাজ শেষ হয়েছে। বাকি দু’টি লেন ও সেতুর কাজ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বহরমপুরের সাংসদ দিল্লিতে আমাদের মন্ত্রকের মন্ত্রীকে পুজোর সময়ে বহরমপুরের ভিড় সামাল দিতে সাময়িক সময়ের জন্য বাইপাস রাস্তা চালু করার অনুরোধ করেছেন। মন্ত্রক থেকে এ বিষয়ে নির্দেশ এলেই আমরা পুজোর সময়ে সাময়িক ভাবে বাইপাস রাস্তা খুলে দেব।’’
বাইপাস পরিদর্শন শেষে অধীর বলেন, ‘‘আমার লক্ষ্য মানুষের সমস্যার সমাধান করা। সে জন্য আমি (কেন্দ্রীয় মন্ত্রী) নীতিন গডকড়ীর কাছে গিয়েছিলাম। সরকারি আধিকারিক ও ঠিকাদারদের আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনা করেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy