Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
pranab mukherjee

Congress: প্রণবের স্মরণসভায় গরহাজির কংগ্রেস নেতারা­

২০০৪ সালে জীবনে প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে জিতে জঙ্গিপুরের সাংসদ হন প্রণব মুখোপাধ্যায়। জেতেন ২০০৯ সালেও।

জঙ্গিপুরে প্রণব-স্মরণ।

জঙ্গিপুরে প্রণব-স্মরণ। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
জঙ্গিপুর শেষ আপডেট: ০১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৬:১৬
Share: Save:

প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়কে স্মরণ করল জঙ্গিপুর। তবে সেই স্মরণসভায় উপস্থিত হলেন না প্রণববাবুর দল কংগ্রেসের কোনও নেতা। রঘুনাথগঞ্জের দেউলিতে জঙ্গিপুর ভবনে এই স্মরণসভার আয়োজন করেছিলেন তাঁর ছেলে, অধুনা তৃণমূল নেতা অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।

এ দিনই জেলা কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বহরমপুরে কংগ্রেস ভবনে প্রণববাবুর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী পালনে পৃথক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। সাংসদ থাকাকালীন প্রণববাবু জঙ্গিপুরে নিজেই বাড়ি তৈরি করেন তাঁর থাকার জন্য। তাঁর বাড়ি ‘জঙ্গিপুর ভবনে’ এদিনের স্মরণসভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের কয়েক জন নেতা-মন্ত্রী, যাঁরা জঙ্গিপুরের সাংসদ থাকাকালীন প্রণববাবুর ছায়াসঙ্গী ছিলেন। ছিলেন জঙ্গিপুরের সাংসদ খলিলুর রহমান, প্রতিমন্ত্রী সুব্রত সাহা ও সাবিনা ইয়াসমিন এবং তৃণমূলের একাধিক বিধায়ক। এদিন জঙ্গিপুরের স্মরণসভায় আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন সুতির কংগ্রেস নেতা আশিস তিওয়ারিও। সেখানে না গেলেও বহরমপুরে দলীয় স্মরণসভায় যোগ দেন তিনি। জঙ্গিপুরের স্মরণসভায় ছিলেন না প্রণববাবুর একদা ঘনিষ্ঠ মুক্তি ধরও। দেখা যায়নি প্রাক্তন মন্ত্রী এক সময় প্রণববাবুর ‘কাছের মানুষ’ বলে পরিচিত জাকির হোসেনকেও।

২০০৪ সালে জীবনে প্রথমবার লোকসভা নির্বাচনে জিতে জঙ্গিপুরের সাংসদ হন প্রণব মুখোপাধ্যায়। জেতেন ২০০৯ সালেও। ওই সময় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে জঙ্গিপুরের গ্রামেগঞ্জে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। প্রতি মাসে নিয়ম করে দুই বা তিনবার এসেছেন জঙ্গিপুরের বিভিন্ন গ্রামে। বীরভূমের মানুষ হলেও অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি হয়ে উঠেছিলেন জঙ্গিপুরের ‘ঘরের মানুষ’। ২০১২ সালে দেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হন তিনি। রাষ্ট্রপতি হয়েও একাধিক বার এসেছেন জঙ্গিপুরে। রাষ্ট্রপতি হিসেবে ২০১৭ সালের ১৪ জুলাই জঙ্গিপুরে শেষবার আসেন প্রণববাবু। ওই বছর ২৪ জুলাই অবসর নেন তিনি। তারপরও ২০১৮ সালের ২৫ ডিসেম্বর শেষবারের মতো তিনি আসেন জঙ্গিপুরে। সেদিন তাঁর গলায় ছিল উদ্বেগের সুর। বলেছিলেন, ‘‘সভ্যতা যত এগোবে, যন্ত্রের ব্যবহার যত বাড়বে তত সঙ্কট বাড়বে খাদ্যের, স্থানের। সেই সঙ্কট কাটাতে নতুন প্রযুক্তি আসবে। প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারে তৈরি হবে নতুন নতুন সমস্যা।’’ তিনি আরও মনে করান, ১৩০ কোটি মানুষের এই দেশে মানুষের স্বাস্থ্য, শিক্ষার দায়িত্ব নিশ্চয় সরকারের আছে। সরকার যে দলেরই হোক, যে পথই তার হোক না কেন, সরকার তার দায়িত্ব এড়াতে পারে না।

তাঁর শূন্য আসনে পরে দু’-দু’বার সাংসদ নির্বাচিত হন তাঁর ছেলে অভিজিৎ। সম্প্রতি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন অভিজিৎ। প্রণববাবুর কন্যা শর্মিষ্ঠা মুখোপাধ্যায় অবশ্য এখনও রয়েছেন কংগ্রেসেই। অভিজিতের ইচ্ছে , বাবার স্মরণে প্রণববাবুর ব্যবহৃত সামগ্রী নিয়ে জঙ্গিপুর ভবনের নীচতলায় একটি মিউজিয়াম গড়ে তোলার।

অন্য বিষয়গুলি:

pranab mukherjee Congress TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy