প্রতীকী ছবি।
সাত বছরের নাবালিকা মেয়েকেও শেষ পর্যন্ত মাদক পাচারের কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন তাঁর মা, অন্তত মেয়ের অভিযোগ সে রকমই। শেষ পর্যন্ত অবশ্য বিএসএফের জওয়ানদের হাতে ধরা পড়ে গেল সেই মেয়ে জঙ্গিপুরের বাহুরা সীমান্তে।
এরপরই ধৃত নাবালিকাকে রঘুনাথগঞ্জ থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ। পুলিশ তাকে বহরমপুরে একটি সরকারি হোমের হেফাজতে পাঠিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাতে।
১১৫ নম্বর ব্যাটালিয়নের বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়, খবর ছিল শনিবার সীমান্ত দিয়ে মহিলার মাধ্যমে মাদক পাচারের চেষ্টা হবে। সেই মতো এলাকায় কয়েক জন মহিলা জওয়ানকে পাহারায় রাখা হয়। কিন্তু কোনও মহিলার দেখা মেলেনি। কিন্তু এদিন ওই নাবালিকা অচেনা মেয়েটিকে সীমান্তের দিকে যেতে দেখে প্রহরারত বিএসএফ জওয়ানদের সন্দেহ হয়। তখন বিএসএফের মহিলা জওয়ানরা তাকে তল্লাশি শুরু করলে সে ভয়ে কাঁদতে শুরু করে। তাকে তল্লাশি করে মেলে প্ল্যাস্টিকের প্যাকেটে মোড়া ১০৭ গ্রাম হেরোইন, মাদক বাজারে যার দাম বেশ কয়েক লক্ষ টাকা।
মেয়েটিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন বিএসএফ জওয়ানেরা। মেয়েটি তখন তাঁদের জানায়, তার মা তাকে এই জিনিস দিয়েছে। এগুলি কী তা সে জানে না। তাকে মা এই প্যাকেটগুলি সীমান্ত লাগোয়া দিদিমার বাড়িতে পৌঁছে দিতে বলে। সেই মতোই সে দিদিমার বাড়িতে যাচ্ছিল। এরপরই মেয়েটিকে মাদক সহ রঘুনাথগঞ্জ থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তরিত করা হয়।
এই ঘটনায় বিএসএফ যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। জঙ্গিপুরে মাদক পাচারের ঘটনা নতুন কিছু নয়। এমনকি মহিলাদের মাধ্যমেও পাচারের সেই চেষ্টা হয়েছে বহু ক্ষেত্রেই।
কিন্তু ৭ বছরের মেয়েকে এ ভাবে মাদক পাচারের কাজে লাগোনোর নজির বড় একটা নেই সীমান্ত পথে। সম্ভবত নাবালিকা ৭ বছরের মেয়েকে দেখে কারও সন্দেহ হবে না ভেবেই তাকে এই কাজে লাগানো হয়েছে। কিন্তু বিএসএফের নজরদারিতে সে চেষ্টা ব্যর্থ হয়। বিএসএফ অবশ্য পুলিশের কাছে ওই মেয়ের বক্তব্য মত এই মাদক পাচারে জড়িতদের পরিচয় সহ বিস্তারিত তথ্য জানিয়ে অভিযোগ দায়ের করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy