শান্তিপুরে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে ইস্টবেঙ্গলের ফ্যান ক্লাব।
ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ক্লাব আগেই ছিল। স্বাধীনতা দিবসের দিন পথচলা শুরু করেছে মোহনবাগানের ফ্যান ক্লাব। অদ্বৈতভূমিতে এবার ভারতীয় ফুটবলের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর সমর্থকদের দড়ি টানাটানি শুরু।
ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে রবিবার সন্ধ্যায় শান্তিপুর শহরে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করে ইস্টবেঙ্গলের ফ্যান ক্লাব। মহিলা লাল হলুদ সমর্থকদের যোগদান, ক্লাব ব্যান্ড, এলইডি স্ক্রিন-সহ এক অন্য ধরনের শোভাযাত্রা নজর কাড়ে সকলের। ছিলেন শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যও। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের সমর্থকেরাও একে অপরকে শুভেচ্ছা জানান।
২০১৭ সালে শান্তিপুরে শুরু হয় ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ক্লাব ‘গর্ব আমার লাল হলুদ’। বর্তমানে তাঁদের সদস্য সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে বলেই তাঁরা জানান। এর মধ্যে আছেন মহিলারাও। রবিবার তাঁরা এক শোভাযাত্রার আয়োজন করেন। ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষের কথা মাথায় রেখেই এই উদ্যোগ। শান্তিপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে লাল হলুদ সমর্থকেরা এ দিন জড়ো হন। সন্ধ্যায় শান্তিপুর স্টেশনের কাছে গোলপার্ক থেকে শুরু হয় ওই যাত্রা। শহরের প্রাণকেন্দ্র ঘুরে তা শেষ হয় মোতিগঞ্জ মোড়ে। দলের মহিলা সমর্থকেরাও হাজির ছিলেন। সকলেরই পরনে ছিল
দলের জার্সি।
বিরাট এলইডি স্ক্রিনে দেখানো হয় ইস্টবেঙ্গলের নানা স্মরণীয় ম্যাচ জয়ের ছবি। সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের থিম সং। ক্লাব ব্যান্ড, লাল হলুদ বেলুন, আবীরের সঙ্গে এ দিন পথ পাড়ি দেন লাল হলুদ জনতা। সংগঠনের কর্তা বান্টি বসু বলেন, “দু’বছর আগেই আমাদের ফ্যান ক্লাবের প্রতিষ্ঠা হয়। আমাদের ফেসবুক পেজও আছে। শান্তিপুরের বহু ইস্টবেঙ্গল সমর্থক আছেন আমাদের সঙ্গে। এ দিন আমাদের হৃদয়ের ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের শতবর্ষ উপলক্ষ্যে আমরা শোভাযাত্রার আয়োজন করেছি।”
আগামী দিনে তাঁরা নানা সামাজিক কাজেও যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন। শান্তিপুরের বুকে পদযাত্রা বা শোভাযাত্রা নতুন কোনও ঘটনা নয়। রাজনৈতিক নানা পদযাত্রা থেকে শুরু করে বিভিন্ন উৎসব পার্বণেও শোভাযাত্রা দেখেছে এই শহর। কিন্তু এ দিন ফুটবল ক্লাবের সমর্থনে ফুটবলপ্রেমীদের এই পদযাত্রা সম্ভবত নতুন এই শহরের কাছে। রাস্তার দু’ধারে দাঁড়িয়ে বহু মানুষ তা উপভোগ করেন।
দিন কয়েক আগে শহরে মোহনবাগান ফ্যান ক্লাবের প্রতিষ্ঠার সময় ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ক্লাবের তরফে তাঁদের ফেসবুক পেজ থেকে শুভেচ্ছা জানানো হয়। এ দিন ইস্টবেঙ্গল ফ্যান ক্লাবের শোভাযাত্রায় গিয়ে শুভেচ্ছা জানান মোহনবাগান ফ্যান ক্লাবের সদস্যরা। আগামী দিনে একই শহরের বুকে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দলের ফ্যান ক্লাবের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিযোগিতাই থাকবে বলে আশাবাদী সকলে। এক সমর্থক বলেন, ‘‘শত্রুতা শুধু খেলার মাঠে। বাকি সময় খেলার জন্য, সামাজিক কাজে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাব সকলে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy