এই ঝোপেই মেলে অম্বর সর্দারের দেহ। নিজস্ব চিত্র।
মঙ্গলবার সকালে রানাঘাটে এক বৃদ্ধের মৃতদেহ ও এক জখম যুবককে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে! স্থানীয় বাসিন্দারা জখম যুবককে রানাঘাট মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করেন। বৃদ্ধকে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের।
মৃত ব্যক্তির নাম অম্বর সর্দার(৬০)। তাঁর বাড়ি রানাঘাট থানার কলাইঘাটা সর্দার পাড়া এলাকায়। পেশায় খেতমজুর। কাজ জখম বিশ্বজিৎ হালদারের বাড়ি রানাঘাটের মুসুন্ডা হালদারপাড়া এলাকায়।
দু’জনের বাড়ির দূরত্ব প্রায় চার কিলোমিটার। তাঁরা পরস্পরের পূর্ব পরিচিত ছিলেন। অম্বরকে কাকা বলে ডাকতেন বিশ্বজিৎ। গত সোমবার বিকেলে বিশ্বজিতের ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হন অম্বর। রাতে তাঁরা কেউই বাড়ি ফেরেননি। দু'জনের ফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের সদস্যরা তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি।
মঙ্গলবার সকালে কলাইঘাটা থেকে মুসুন্ডা যাওয়ার রাস্তার পাশে মাঝের মাজদিয়া গ্রামে একটি ঝোপে অম্বরকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৃত ব্যক্তির মাথায় ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। কিছুটা দূরে রাস্তার পাশে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিলেন বিশ্বজিৎ।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘ওই দিন বিকেলে কাকা অম্বরের সঙ্গে আমি বেরিয়েছিলাম। এক সঙ্গে খাওয়া দাওয়া করি। রাতে নির্জন রাস্তা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় কাকার পরিচিত এক ব্যক্তি মোটরবাইক নিয়ে হঠাৎ হাজির হন। তিনি আমাদের কিছুটা পথ এগিয়ে দেবেন বলে জানান। কিন্তু কিছুটা পথ আসার পর হঠাৎই কাকার সঙ্গে তাঁর গোলমাল শুরু হয়। সেই সময় কে বা কারা আমাকে মাথার পিছনে কিছু দিয়ে আঘাত করে। তার পর আমার আর কিছু মনে নেই।’’ চিকিৎসাকেরা জানিয়েছেন, বিশ্বজিতের বাঁ চোখে ও বাঁ কানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
তবে মৃত অম্বরের স্ত্রী স্বপ্না সর্দারের দাবি, ‘‘স্বামীর কোনও শত্রু ছিল না। আমাদের সন্দেহ, বিশ্বজিৎ খুনের সঙ্গে যুক্ত।’’ প্রায় একই দাবি করেছেন মৃতের ছেলে শৈলেন সর্দার। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy