রক্ত দান করছেন এক ব্যক্তি। নিজস্ব চিত্র।
শিবির করে সঙ্কট সামাল দেওয়ার চেষ্টা শুরু হয়েছে সম্প্রতি। তবে করোনা আবহে এখনও রক্তের আকাল জেলার বিভিন্ন ব্লাডব্যাঙ্কে। তবে থেমে নেই স্বাস্থ্যকর্মী এবং বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। কোথাও, কারও রক্তের প্রয়োজন জানতে পারলেই তাঁরা রক্তদান করছেন নিজেরাই। রবিবার এমনই এক মুমূর্ষুকে রক্তের জোগান দিয়ে বাঁচালেন এক যুবক।
হরিহরপাড়ার প্রদীপডাঙা গ্রামের বাসিন্দা, বছর চব্বিশের কবিতা বিবি শনিবার দুপুরে প্রসবের জন্য ভর্তি হয়েছিলেন স্থানীয় একটি নার্সিংহোমে। তাঁর রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কম থাকায় নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ রোগীর আত্মীয়দের জানিয়ে দেন, তিন ইউনিট রক্তের প্রয়োজন। রোগীর বাড়ির লোক মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ব্লাডব্যাঙ্কে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, সেখানে ওই মহিলার যে গ্রুপের রক্ত প্রয়োজন সেই ‘এ পজিটিভ’ রক্ত নেই। কবিতার স্বামী রাজিকুল শেখের অভিযোগ, নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ সেই সময় তাঁকে জানান, কয়েক হাজার টাকা জোগাড় করতে পারলে তাঁরা প্রয়োজনীয় রক্ত জোগাড় করে দেবেন। সেই খবর পেয়ে নার্সিংহোমে যান স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মী রাফিউল শেখ, সাবেদিন শেখরা। শেষ পর্যন্ত রোগীর রক্তের বন্দোবস্ত করেন একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা। শনিবার রাতে এক ইউনিট রক্তের ব্যবস্থা করেন তাঁরা। বেলডাঙার ভাবতা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার টোটো চালিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের ব্লাডব্যাঙ্কে রক্ত দিতে যান মুহাম্মদ তারিফ হোসেন। রবিবার দুপুরে আরেক ইউনিট রক্তের বন্দোবস্ত করেন তাঁরাই। পরে তারিফ বলেন, ‘‘আগেও অনেক বার রক্ত দিয়েছি। গভীর রাতে অন্য কোনও দাতা যদি না পান ওঁরা, সেই ভেবে ছুটে এসেছি।’’ রাজিকুল বলেন, ‘‘ব্লাডব্যাঙ্কে রক্ত নেই শুনে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। স্ত্রী এবং সদ্যোজাতর জীবন সংশয় হয়ে গিয়েছিল। আমার এক আত্মীয়র মাধ্যমে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছিল। ওদের কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy