মমতার ডাকা কাউন্সিলরদের বৈঠকে গরহাজির কৃষ্ণনগর পুরসভার ৬ কাউন্সিলর।
এর আগে তাঁরা নবনিযুক্ত কৃষ্ণনগর জেলা সভাপতির ডাকা বৈঠক বয়কট করেছিলেন। এ বার খোদ দলনেত্রীর বৈঠকও বয়কট করলেন কৃষ্ণনগর পুরসভার বেশ কয়েক জন প্রাক্তন কাউন্সিলর। মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে বৈঠকে গেলেন না তাঁরা। যদিও এই নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাননি তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
কৃষ্ণনগর পুরসভার কাউন্সিলরের সংখ্যা ২৪। সকলেই তৃণমূলের। গত ডিসেম্বরে পুরসভার মেয়াদ শেষ হয়ে গিয়েছে। প্রশাসক বসেছে। কিন্তু প্রাক্তন পুরপ্রধান অসীম সাহার বিরোধী বলে পরিচিত কাউন্সিলরেরা তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে সরব। তার অন্যতম কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ডের পাশে পুরসভার জমিতে পেট্রল পাম্প তৈরির প্রস্তাব। ওই কাউন্সিলরদের অভিযোগ, তাদের অন্ধকারে রেখে বেআইনি ভাবে একটি সংস্থাকে জমি লিজ দিয়েছেন অসীম সাহা। তা নিয়ে তারা আগেই জেলা নেতৃত্বের কাছে সরব হয়েছেন। তাঁদের দাবি, নেত্রীকে চিঠি দিয়ে তাঁরা বিষয়টি জানিয়েছেন। তার পরেও কোনও কাজ না হওয়ায় কঠিন অবস্থান নিতে বাধ্য হয়েছেন।
গত লোকসভা ভোটে কৃষ্ণনগর পুর এলাকায় প্রায় ১৯ হাজার ভোটের লিড পেয়েছে বিজেপি। এক মাত্র ১৮ নম্বর ওয়ার্ড ছাড়া বাকি সব ওয়ার্ডে পিছিয়ে পড়েছে তৃণমূল। পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান তথা দলের শহর সভাপতি শশীগোপাল সরকার। তা বয়কট করেন ছ’জন কাউন্সিলর। পরে সাংসদ তথা কৃষ্ণনগর জেলা সভাপতি মহুয়া মৈত্র বৈঠক ডাকেন। তা-ও বয়কট করেন ১০ জন কাউন্সিলর ও তাঁদের অনুগামীরা। এ বার নজরুল মঞ্চে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বৈঠকেও গেলেন না ছয় কাউন্সিলর। সকালে পুরসভার সামনে থেকে পাঁচটি গাড়িতে ১৮ জন কাউন্সিলর কলকাতার দিকে রওনা দিলেন।
‘বিদ্রোহী’ কাউন্সিলরদের পক্ষে স্বপন সাহা, অনুপম বিশ্বাসেরা বলেন, “আমাদের লড়াই দুর্নীতির বিরুদ্ধে। আমরা দলনেত্রীকেও সব জানিয়েছি। কিন্তু এখনও কোনও পদক্ষেপ করা হল না। যত দিন না বিষয়টির সুরহা হচ্ছে, আমরা কোনও বৈঠকে যাব না।” তবে তৃণমূল ছেড়ে অন্য় কোনও দলে যাচ্ছেন না বলেও তাঁরা জানিয়ে দিয়েছেন। নেত্রীর সভায় না-যাওয়ায় দল যদি তাঁদের তাড়িয়ে দেয়? ওঁদের জবাব: “তখন দেখা থাবে।” যদিও ওঁদের মধ্যে এক জন কাউন্সিলর বিজেপির দিকে পা বাড়িয়ে রয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। বাকিরা ঠিক কী চাইছেন, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে দলের মধ্যেও।
তবে এ সব ‘বিদ্রোহ’কে গুরুত্ব দিতে নারাজ অসীম সাহা। তিনি বলেন, “কে কি বলছে, কেন ওরা গেল না, আমি জানি না। শুধু এটুকু বলব যে নেত্রীর ডাকে আমরা ১৮ জন কাউন্সিলর এক সঙ্গে গিয়েছি।” আর রাজীব বলছেন, “আমাকে আগে ভাল করে এ ব্যাপারে খোঁজ নিতে হবে। তার পরে মন্তব্য করব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy