দুর্ঘটনার পরে। নিজস্ব চিত্র।
ফের লেন ভাঙার ঘটনায় ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটল সুতিতে। দুরন্ত গতিতে চলা ট্রাক লেন ভেঙে প্রথমে যাত্রিবাহী অটো ও তার পিছনে থাকা বাইককে মুখোমুখি ধাক্কা মেরে উল্টে গিয়ে পড়ল সড়কের পাশের নয়নজলিতে। এই দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল অটোর এক মহিলা যাত্রী ও বাইকে থাকা এক দম্পতির।
দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দুপুরে সুতির আহিরণ হাটের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে। অটোর মহিলাযাত্রীর পরিচয় রাত পর্যন্ত জানা যায়নি। বাইকে থাকা মৃত দু’জন আখের আলি সিদ্দিকি (৩৮) ও তাঁর স্ত্রী কবিতা বিবির (৩২)বাড়ি সুতির নয়াবাহাদুরপুর গ্রামে। আহত হয়েছেন অটোর যাত্রী একই পরিবারের ৪ জন। তাঁদের ৩ জনকে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের বাড়ি লালগোলা ব্লকের সাবিয়া জগন্নাথপুর গ্রামে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অটোটি একটি পরিবারের ৪ যাত্রীকে নিয়ে সুতির শ্রীরামপুর থেকে রঘুনাথগঞ্জে যাচ্ছিল। পথে এক মহিলা যাত্রী ওঠেন অটোটিতে। ফোর লেনের জাতীয় সড়কে অটোটি নির্দিষ্ট লেন দিয়েই যাচ্ছিল রঘুনাথগঞ্জে। তার ঠিক পিছনে বাইকে স্ত্রী ববিতাকে নিয়ে যাচ্ছিলেন আখের আলি সিদ্দিকি। খালি ট্রাকটি যাচ্ছিল ধুলিয়ানের দিকে নির্দিষ্ট বাঁ দিকের লেন ধরেই দ্রুত গতিতে। আহিরণ হাটের কাছে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎই ট্রাকটি মাঝের সামান্য উঁচু ডিভাইডারকে ধাক্কা মেরে টপকে গিয়ে ধাক্কা মারে অন্য লেন ধরে আসা অটোর মাঝে। অটোটি উল্টে যায়। সমস্ত যাত্রীই ছিটকে পড়েন রাস্তায়। এরপরই ট্রাকটি অটোর পিছনে থাকা বাইকটিকে পিষে দিয়ে গিয়ে উল্টে পড়ে রাস্তার পাশের নয়নজুলিতে। ঘটনায় আগুন ধরে যায় বাইকটিতে। জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে অটোযাত্রী এক মহিলা ও বাইকে থাকা স্বামী-স্ত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ট্রাকের চালক ঘুমিয়ে পড়ার কারণেই এ ভাবে লেন ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে।অটোর যাত্রী তৃণা দাস আশঙ্কাজনক। মৃত দম্পতির বাড়িতে বাড়িতে রয়েছে তাঁদের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে রোহন সিদ্দিকি ও সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী মেয়ে আফসানা খাতুন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy