Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪
TMC

দ্বন্দ্বের ১২ ঘণ্টার মধ্যে ধৃত তৃণমূলের ১৯ নেতা-কর্মী

জেলার পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, “মারপিটের ঘটনায় জড়িত ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।”

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
সালার শেষ আপডেট: ২১ জুলাই ২০২০ ০৫:০২
Share: Save:

তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে মারপিটের ঘটনার ১২ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই উভয় পক্ষের ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভরতপুর ২ ব্লকের যুব তৃণমূলের সঙ্গে তৃণমূলের দফায় দফায় মারপিটের ঘটনা ঘটে। মার, পাল্টে মারে উত্তপ্ত হয়ে উঠে সালার থানার পূর্বগ্রাম ও সালার গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বর। ঘটনায় উভয় পক্ষের মোট ১৬ জন নেতা ও কর্মী জখম হয়েছেন। জেলার পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার বলেন, “মারপিটের ঘটনায় জড়িত ১৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এলাকায় পুলিশের টহল বাড়ানো হয়েছে।”

সোমবার অভিযুক্ত ১৯ জনের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হয়ে আক্রমণ করা, সরকারি কাজে বাধা সৃষ্টি করা, সরকারি কর্মীকে মারধর করা, হত্যা করার চেষ্টা থেকে সংক্রমণ আইনের মতো একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করেছে পুলিশ। ধৃতদের ওই দিন কান্দি আদালতের এসিজেএম সুস্মিতা মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে তোলা হলে অভিযুক্তদের জামিনের আর্জি খারিজ করে ১৪ দিনের জেলের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ভার্চুয়াল সভার প্রচারকে কেন্দ্র করে রবিবার সালার থানার তালিবপুর অঞ্চলের পূর্বগ্রামে তালিবপুর অঞ্চলের যুব তৃণমূলের সভাপতি মেহেরাজ শেখের সঙ্গে ওই অঞ্চলের তৃণমূলের সভাপতি রবি শেখের প্রথম বচসা শুরু দিয়ে দলের দু’গোষ্ঠীর মধ্যে কোন্দল শুরু হয়। ওই ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি আনারুল ইসলাম ঘটনাস্থলে যান, তাঁকে বেধড়ক মারধর করো হয় বলে অভিযোগ। জখম যুব তৃণমূলের সভাপতি-সহ বারো জন কর্মী সালার গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা শুরু হয়। সেই সময় ফের রবি শেখ তাঁর অনুগামীদের নিয়ে ফের হাসপাতালে চড়াও হয়। সেই সময় ফের যুব তৃণমূলের কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের রবি শেখের অনুগামীদের মধ্যে মারপিট হয় বলে দাবি। গুরুতর জখম হন রবি ও তাঁর তিন অনুগামী। সোমবার আদালতে দাঁড়িয়ে রবি বলেন, “আমি কাউকেই মারধর করিনি। স্থানীয় বাসিন্দারা মারধর করেছে। আমি হাসপাতালে খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম সেখানে আমাকে ও আমার দলের কয়েক জন কর্মীকে মারধর করেছে।” একই ভাবে ওই ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি আনারুল ইসলাম বলেন, “আমাদের রাস্তা আটকে আমাদের কর্মীদের মারধর করে রবি। এখন আমাদেরই পুলিশ গ্রেফতার করেছে।”

জেলা তৃণমূলের সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, “নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব করে জেলে যাওয়ার ঘটনায় দলের সংগঠনের উপর প্রভাব পড়বে। ওই ঘটনা দলেরই বেশি ক্ষতি হবে। দুই পক্ষকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে, আইন মেনে যা হওয়ার সেটাই হবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Arrest Salar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy