একশো দিনের কাজ নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল নদিয়ার ধানতলা থানার দত্তফুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের কুশাবেড়িয়া গ্রামের তৃণমূল সদস্য বিজয় কুমার পালের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে কয়েকজন গ্রামবাসী রানাঘাট ২- এর বিডিও-র কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। বিডিও শিল্পী সিংহ অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, “তদন্ত চলছে। দোষ প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’বছর ধরে দত্তফুলিয়া পঞ্চায়েতের কুশাবেড়িয়া গ্রামে কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পে একশো দিনের প্রকল্পে লক্ষ-লক্ষ টাকার কাজ হয়েছে। কিন্তু, যাঁদের নামে এই টাকা তোলা হয়েছে, তাঁদের অধিকাংশই টাকা পাননি বলে অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দা তপতী রায় বলেন, “আমার জব কার্ডে ৭৮ দিনের কাজ হয়েছে বলে ১১ হাজার ৭৭৮ টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমি বা আমার ছেলে কেউই ওই কাজ করিনি। আমাদের জব কার্ড আটকে রেখেছে ওই গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য ও কাজের সুপারভাইজার। সেই কার্ডের নম্বার দিয়ে ভুয়ো বিল করে টাকাটা তোলা হয়েছে।” একই অভিযোগ করে আর এক বাসিন্দা নীহার বিশ্বাস বলেন, “আমার সই ছাড়াই ১০৪ দিনের কাজ দেখিয়ে ১৫ হাজার ৭০৪ টাকা তোলা হয়েছে। অথচ, ওই জব কার্ডে আমি বা আমার পরিবারের কেউ কাজ করিনি।” বিজেপি-র রানাঘাট ২ ব্লকের সাধারণ সম্পাদক অশোক বিশ্বাস বলেন, “বিভিন্ন ভাবে এই দুর্নীতি করেছেন তৃণমূলের ওই পঞ্চায়েত সদস্য-সহ একটি চক্র। লক্ষ-লক্ষ টাকার নয়ছয় হয়েছে। কিছু বলতে গেলে ওই পঞ্চায়েত সদস্য গ্রামবাসীদের বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখাছেন।”
তৃণমূল অবশ্য এই অভিযোগ মানতে নারাজ। অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় কুমার পাল বলেন, “গ্রামের গরীব মানুষের উপকার করতে গিয়ে আমি বিপদে পড়েছি। যাঁদের কার্ড নেই, তাঁদের অন্য লোকের কার্ড দিয়ে কাজ করিয়েছি। কার্ডধারীদের নামে টাকা তুলে, যাঁরা কাজ করেছেন তাঁদের দিতে দিয়ে এই বিপত্তি। এখন সবাই অস্বীকার করছে।” রানাঘাট ২ ব্লকের তৃণমূল বিধায়ক সমীর পোদ্দারের দাবি, “বিজেপি বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy