ছবি: সংগৃহীত।
ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত চারটি ব্লকে তৃণমূলের যুব সভাপতিকে ওয়াই-প্লাস নিরাপত্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। তাঁদের সঙ্গে সর্বক্ষণের নিদেনপক্ষে দু’জন করে দেহরক্ষী থাকবেন। পাশাপাশি দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলায় ওই চার যুব সভাপতি এসকর্ট কারও পাবেন। গত ৭ নভেম্বর রাজ্যের ভিআইপি নিরাপত্তা সংক্রান্ত পর্যালোচনা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের সরকারি ‘ভিআইপি’ তালিকায় তাঁদের নামও তোলা হয়েছে। শুধু তৃণমূলই নয়, বিজেপিরও ডায়মন্ড হারবারের নেতা অভিজিৎ দাস(ববি)’কে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েছে অমিত শাহের দফতর।
এ প্রসঙ্গে রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা বলেন,‘‘জেলা পুলিশ থেকে ওই চার নেতার বিরুদ্ধে নিরাপত্তা ঝুঁকি সংক্রান্ত রিপোর্ট এসেছিল। অস্থায়ীভাবে তাঁদের নিরাপত্তা আগেই বাড়ানো হয়েছিল। এ বারের বৈঠকে তা পাকাপাকি করে দেওয়া হয়েছে।’’
নিরাপত্তা পর্যালোচনা বৈঠকে ঠিক হয়েছে, ডায়মন্ড হারবার এলাকায় বজবজ এক নম্বর ব্লকের শ্রীমন্ত বৈদ্য, ফলতার জাহাঙ্গির খান, ডায়মন্ড হারবার এক নম্বর ব্লকের গৌতম অধিকারী এবং দু’নম্বর ব্লকের মেহবুব রহমান গায়েনকে ওয়াই-প্লাস নিরাপত্তা দেওয়া হবে। এঁরা ওই চারটি ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি। জেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য এসকর্ট কারও দেবে পুলিশ। ওয়াই-প্লাস নিরাপত্তা প্রাপকেরা সর্বক্ষণের জন্য দু’জন করে বন্দুকধারী দেহরক্ষী পান। স্থানীয় পুলিশ চাইলে নিরাপত্তার বহর আরও বাড়িয়ে দেওয়া যায়। রাজ্যের নিরাপত্তা ডিরেক্টরেট সেই মর্মেই নির্দেশ দিয়ে বলেছে, জেলা পুলিশ ঝুঁকি বুঝে নিরাপত্তা বাড়িয়ে দিতে পারে।
আরও পড়ুন: সভাধিপতি লম্বা ছুটিতে কেন, জল্পনা বীরভূমে
শুধুমাত্র ডায়মন্ড হারবারের ব্লকের যুব সভাপতিরাই কেন নিরাপত্তা পাচ্ছেন? ওই জেলার সিনিয়র নেতারা কি একই ধরনের নিরাপত্তা পান?
ভিআইপি নিরাপত্তার দেখাশোনা করেন এমন এক পুলিশ কর্তা জানান, জেলা পুলিশ যেমন রিপোর্ট পাঠায় তেমনই নিরাপত্তা দেওয়া হয়। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ জেড-প্লাস নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রমের মোহন্ত জ্ঞান দাসকেও জেড ক্যাটেগরি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। তারকেশ্বর শিব মন্দিরের মুখ্য সেবাইতও দু’জন দেহরক্ষী-সহ ওয়াই-প্লাস নিরাপত্তা পেয়েছেন। ওই কর্তার কথায়,‘‘শুধুমাত্র ডায়মন্ডহারবার নয় কলকাতাসহ কয়েকটি জেলার যুব নেতাদেরও নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। কারণ, তাঁদের কাজে ঝুঁকি বেশি। একই ভাবে অন্য ক্ষেত্রের বিশিষ্টদেরও যথাযথ নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে।’’
ভিআইপি তালিকায় যুব নেতা ক্যানিং দু’নম্বর ব্লকের সভাপতি সওকত মোল্লা, ভাতারের যুব নেতা সুভাষ মন্ডল, উত্তর কলকাতার যুব সভাপতি জীবন সাহা, দক্ষিণ কলকাতার যুব সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসের নিরাপত্তাও বহাল রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দক্ষিণ কলকাতার বিশিষ্ট ‘সমাজসেবী’ তথা যুব নেতা কুমার সাহাকেও রাজ্যের ভিআইপি তালিকায় নথিভূক্ত করা হয়েছে।
বছরের শুরুতে রাজ্য ভিআইপি তালিকায় ২৪৫ জন ছিলেন। ৭ নভেম্বরের বৈঠকে তা বেড়ে ২৬০ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ভিআইপি তালিকায় রয়েছেন অন্তত আরও জনা পঞ্চাশ বিজেপি নেতা, সাংসদ, মন্ত্রী। বাবুল সুপ্রিয় থেকে দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় থেকে সব্যসাচী দত্ত, অর্জুন সিংহ, রাকেশ সিং থেকে রাহুল সিংহরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন। সব মিলিয়ে রাজ্যে সরকারি ভিআইপি’র সংখ্যা এখন প্রায় ৩০০ জন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy