প্রতীকী ছবি।
এত দিন রাত ১২টার পরে স্টার বা তারা-চিহ্নিত হোটেলগুলি নিজেদের বারে মদ বিক্রি করতে পারত না। ‘সাবালক’ শহরে সুরাপানের উপরে নিয়ন্ত্রণ শিথিল করছে নবান্ন। রাজ্যের তারকা হোটেলগুলিতে সারা রাত বার খোলা রাখার অনুমতি দেওয়া হয়েছে বলে আবগারি দফতর সূত্রের খবর।
ছাড় শুধু সময়েই নয়। নবান্ন সূত্রের খবর, তারকা হোটেলগুলি যাতে একই জায়গায় একাধিক বার খোলে, তাতেও উৎসাহ দিচ্ছে সরকার। এত দিন কোনও হোটেলে দ্বিতীয় বার খোলার জন্য প্রথম বারের মতোই ফি দিতে হত। আবগারি দফতর সম্প্রতি অতিরিক্ত বার খোলার লাইসেন্স ফি পাঁচ লক্ষ টাকা থেকে কমিয়ে আড়াই লক্ষ টাকা করেছে। বছর দুয়েক আগে তারকা হোটেলে অতিরিক্ত বার খোলার জন্য দু’লক্ষ টাকার লাইসেন্স ফি বাড়িয়ে পাঁচ লক্ষ করা হয়েছিল। এ বার সেই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করে অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে। কেন? এক আবগারি-কর্তা জানান, লাইসেন্স ফি বাড়ানোর ফলে এক বারই অতিরিক্ত টাকা রোজগার হত। কিন্তু লাইসেন্স ফি-র টাকা কমিয়ে দিলে অতিরিক্ত বার খুলবে। সারা বছরের মদ বিক্রি থেকে আয়ও বেশি হবে।
আবগারি দফতর জানাচ্ছে, তিনতারা এবং তার উপরের স্তরের হোটেলগুলিতে এত দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত বারে মদ বিক্রি করা যেত। কোনও হোটেল চাইলে অতিরিক্ত দু’ঘণ্টা (রাত ২টো পর্যন্ত) বার খুলে রাখতে পারত। কিন্তু তার জন্য বাড়তি ‘লেট ক্লোজ়িং ফি’ দিতে হত। কর্তারা জানাচ্ছেন, তারকা হোটেলগুলিতে অনেক অতিথি আসেন, যাঁরা সারা রাত মদ্য পান করতে চান। বিদেশি অতিথির সংখ্যা বাড়ছে। শহরেরও বহু মানুষ এখন তারকা হোটেলের ক্লাবগুলিতে গভীর রাত পর্যন্ত সময় কাটান। বিশেষ করে সপ্তাহান্তে রাতভর পার্টি করার প্রবণতা বাড়ছে কলকাতায়। খড়্গপুর, শিলিগুড়ি, আসানসোল-দুর্গাপুরের হোটেলগুলিতেও রাতভর বিনোদনের ঝোঁক দেখা যাচ্ছে। সেই জন্য হোটেল সংস্থাগুলি রাজ্যের কাছে সারা রাত মদ বিক্রির অনুমতি চেয়েছিল।
‘জলপথে’ লক্ষ্মীলাভ সাল রাজস্ব* ২০১৫-১৬ ৪০১৫.১২ ২০১৬-১৭ ৫২২৬.১৬ ২০১৭-১৮ ৯৩৪০.০৫ ২০১৮-১৯ ১০,৬২২.৪৫ ২০১৯-২০ ১১,৬২৬.৯৯ * কোটি টাকায়, সূত্র: আবগারি দফতর
সমস্ত দিক ভেবেই আবগারি দফতর তারকা হোটেলগুলিতে ভোর ৪টে পর্যন্ত বারে মদ বিক্রির অনুমতি দিয়েছে। তার জন্য বাড়তি কোনও ফি দিতে হবে না সরকারের ঘরে। এর ফলে লেট ফি বাবদ রাজস্ব মিলবে না বলে জানাচ্ছেন কেউ কেউ।
আরও পড়ুন: ভাষার আবেগে ‘জিরো পয়েন্টে’ উধাও কাঁটাতার
এই ব্যাপারে জানতে চেয়ে রাজ্যের আবগারি কমিশনার খালিদ আনোয়ারকে ফোন করা হয়েছিল। তিনি ফোন ধরেননি, মেসেজেরও জবাব দেননি। তবে এক শীর্ষ আবগারি-কর্তা বলেন, ‘‘লেট ফি বাবদ যা আয় হত, সারা রাত মদ বিক্রি চালু রাখলে তার চেয়ে বেশি আয় হবে।’’ আবগারি-কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, রাত ১২টা পর্যন্ত মদ বিক্রির অনুমতি থাকলেও এক শ্রেণির অফিসারের যোগসাজশে অনেক হোটেলে আরও বেশি ক্ষণ মদ বিক্রি হত। আবগারি প্রশাসনে স্বচ্ছতা আনতেই রাতভর মদ বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
তবে আবগারি দফতরের একাংশের বক্তব্য, মদ বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণ কায়েম করতেই আগে রাত ১২টার পরে মদ বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হত। রাতে শহরের আইনশৃঙ্খলা এবং দুর্ঘটনার কথাও বিবেচনায় রাখা হয়েছিল। যদিও কর্তাদের অন্য একটি অংশের বক্তব্য, ‘‘তারকা হোটেলের অতিথিদের নিয়ে এমন সমস্যা হওয়ার কথা নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy