Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
Nabanna

তল্লাশিতে কেন সিআরপি, আইনি পরামর্শ নবান্নের 

আয়কর দফতরের কর্তাদের দাবি, প্রতিটি স্থানে তল্লাশি শুরুর সময়েই স্থানীয় থানাকে জানানো হয়েছিল।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২০ ০৪:৪৪
Share: Save:

এক কয়লা পাচারকারীর ৩০টি ঠিকানায় এক দিনে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে আয়কর দফতর। তল্লাশির সময় তাঁরা সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিল সিআরপিএফ’কে। রাজ্যের কোনও স্থানে তল্লাশি চালাতে আদৌ কেন্দ্রীয় বাহিনী ডাকা যায় কি না, তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এ নিয়ে আইনি পরামর্শ শুরু করেছেন নবান্ন। প্রয়োজনে দিল্লির কাছে এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানানো হবে।

বৃহস্পতিবার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বলেন, ‘‘সিআরপি নিয়ে ব্যবসায়ীদের বাড়িতে রেড করছে। পুলিশকে কিছু বলাই হয়নি। কেন্দ্র নিজের সীমাবদ্ধতার মধ্যে থাকুক, আমরাও আমাদের সীমাবদ্ধতার মধ্যে থাকব।’’ স্বরাষ্ট্র দফতরের এক শীর্ষ কর্তার কথায়,‘‘যে প্রবণতা তৈরি হচ্ছে, তাতে যে কোনও দিন কারও বাড়িতে সিআরপি নিয়ে হানা দিতে পারে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। রাজ্যে বৈধ তল্লাশি চালাতে রাজ্যের পুলিশকে জানিয়ে যাওয়া উচিত। বৃহস্পতিবারের তল্লাশি নিয়ে কিছু জানাই ছিল না। এ নিয়ে প্রয়োজনে প্রতিবাদ জানানো হবে।’’

আয়কর দফতরের কর্তাদের দাবি, প্রতিটি স্থানে তল্লাশি শুরুর সময়েই স্থানীয় থানাকে জানানো হয়েছিল। যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখা হয় সেই অনুরোধ জানিয়ে পুলিশকে বলা হয়েছিল। এমনকি রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ফোন করা হয়েছিল, তিনি ফোন ধরেননি। তল্লাশির শেষেও সবিস্তার জানিয়ে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হবে। আয়কর কর্তারা জানাচ্ছেন, আয়কর আইনে তল্লাশিতে যাওয়ার সময় তদন্তকারীদের নিরাপত্তার জন্য ফোর্স চাওয়ার অধিকার রয়েছে। সিআরপিএফ গিয়েছিল শুধুমাত্র আয়কর কর্তাদের নিরাপত্তা দিতে।

তদন্তকারীরা জানান, গোয়েন্দা তথ্যে বলা হয়েছিল কয়লা পাচারকারীদের বাড়িতে তল্লাশিতে গেলে জীবন বিপন্ন হতে পারে। এর আগে বেশ কয়েকটি তল্লাশির জন্য রাজ্যের থেকে পুলিশ চেয়ে নির্দিষ্ট দিনে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই সিআরপি সঙ্গে নিতে হয়েছিল। তবে কয়লা— গরু পাচারের কারবারে ইডি, সিবিআই, আয়কর দফতরকে কেন নামতে হচ্ছে? সংগঠিত অপরাধের ঘটনা রাজ্যে ঘটলেও কেন পুলিশ নিজে থেকে ব্যবস্থা নেয়নি সেই প্রশ্নও উঠছে। পুলিশ সক্রিয় হয়ে কয়লা, বালি, পাথর, গরুর কারবার বন্ধ করে দিয়ে তো কেন্দ্রীয় বাহিনীর সক্রিয় হওয়ার সুযোগই থাকে না। এ নিয়ে অবশ্য রাজ্যের সাফাই ভিন্ন। নবান্নের কর্তারা জানাচ্ছেন, কয়লা খনি এলাকার দায়িত্ব কোল ইন্ডিয়া এবং শিল্প নিরাপত্তা বাহিনীর। তাই চোরা কারবার রোখার দায়িত্ব তাঁদের। আর সীমান্ত দিয়ে গরু পাচার হয়, ফলে এর দায় বিএসএফের।

অন্য বিষয়গুলি:

Nabanna CRPF Raid Income Tax Department
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy