— প্রতীকী চিত্র।
রাজ্যের বাইরে আলু পাঠানো নিয়ে ব্যবসায়ীদের একাংশের বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ তুলেছিল রাজ্য সরকার। এ বার আলুর দাম পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে না আসার নেপথ্যে সেই অংশের ব্যবসায়ীদেরই দায়ী করল নবান্ন। শুক্রবার রাজ্যের কৃষি বিপণনমন্ত্রী বেচারাম মান্না দাবি করেন, অনেক জায়গায় আলুর দাম আগের তুলনায় কমলেও, কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর কারণে দাম পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসছে না। তবে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির দাবি, পাইকারিতে এখন দাম কিছুটা কমেছে। ফলে খুচরো বাজারেও আলুর দর নিয়ন্ত্রণে এসে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাইরে আলু পাঠানোয় ছাড়পত্র দেওয়ার অনুরোধও রাজ্য সরকারের উদ্দেশে জানিয়েছেন সংগঠন-নেতৃত্ব।
বেচারাম আগেই অভিযোগ করেছেন, ৪০ জন আলু ব্যবসায়ী এবং স্টোর মালিকের কাছে বেশির ভাগ মজুত চলে গিয়েছে। সেই তালিকা তৈরি হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে টাস্ক ফোর্সের সদস্যদের পাশাপাশি মন্ত্রীরও অভিযোগ, স্টোর থেকে আলু ২৬ টাকা কেজি প্রতিতে দেওয়ার কথা ছিল ব্যবসায়ীদের। কিন্তু তা না হওয়ায় কোনও কোনও খুচরো বাজারে আলুর দাম কিছুটা বেশি থাকছে। বৃহস্পতিবার বেচারাম বলেন, “সহযোগিতা করছেন না ব্যবসায়ীদের একাংশ। ২৬ টাকায় যে আলু স্টোর থেকে দেওয়ার কথা, তা তাঁরা দিচ্ছেন ২৮-২৯ টাকায়। ২৬ টাকার রসিদ না দেখাতে পারায় তাঁদের উপর চাপও তৈরি করা যাচ্ছে না। ফলে সেই সব বাজারে আলুর দাম কেজি প্রতি ৩৪-৩৫ টাকা হয়ে যাচ্ছে।” এ দিন প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক লালু মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “পাইকারিতে ভাল আলুর দর ২৪-২৬ টাকায় নেমে এসেছে। কোথাও কোথাও বাছাই আলুর দাম কিছুটা বেশি। কিন্তু মোটের উপর খুচরো বাজারে আলুর দর ৩০-৩১ টাকায় নেমে এসেছে। নতুন আলুর জোগানও বাড়ছে। ফলে সরকারের কাছে অনুরোধ, আলু বাইরে পাঠানোয় নিষেধাজ্ঞা জারি করা রয়েছে, তা ছাড়া হোক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy