আগামী তিন বছরে ২০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং ৩০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে বলে সরকারি সূত্রের দাবি। ফাইল চিত্র।
পড়ুয়াদের স্কুলের পোশাক তৈরির সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল রাজ্য সরকার। এ বার পৃথক ভাবে বস্ত্র তালুক বা টেক্সটাইল পার্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন। ক্ষুদ্র-ছোট ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) দফতর সূত্রের খবর, সেই তালুকে বিনিয়োগের জন্য অনেক উদ্যোগপতি আগ্রহ দেখিয়েছেন। ফলে এই ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে বলে রাজ্যের দাবি।
এখনও পর্যন্ত ঠিক রয়েছে, ২০০ একর জমির উপরে গড়ে উঠবে এই বস্ত্র তালুক। এ জন্য পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনি, দুর্গাপুর এবং আসানসোলে জমি চিহ্নিত করা হয়েছে। আগামী তিন বছরে সেখানে ২০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং ৩০ হাজার কর্মসংস্থান সৃষ্টির সুযোগ রয়েছে বলে সরকারি সূত্রের দাবি।
বস্ত্রশিল্পের সম্ভাবনা নিয়ে শনিবারই একটি কর্মশালার আয়োজন করেছিল এমএসএমই দফতর। সূত্রের খবর, প্রায় সাড়ে ছ’শো জন উদ্যোগপতি যোগ দিয়েছিলেন সেখানে। বস্ত্রশিল্পকে সামনে রেখে রাজ্য যে পদক্ষেপগুলি আগামী দিনে করতে চাইছে, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। প্রশাসনিক সূত্রের বক্তব্য, স্কুল পড়ুয়াদের পোশাক বানানোর জন্য এখনও পর্যন্ত ৮০০টি বিদ্যুৎচালিত তাঁতের মাধ্যমে ১ কোটি মিটার কাপড় তৈরি করা হচ্ছে। আগামী দিনে সেটাই বছরে ৪ কোটি মিটার উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে। সরকারের দাবি, হাওড়ায় হোসিয়ারি পার্কের আয়তন ১৫ লক্ষ বর্গফুট থেকে বাড়িয়ে ৮০ লক্ষ বর্গফুট করা হবে। তাতে আরও ৫০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে। প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ ভাবে সেখানে ৪ লক্ষ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে।
এ ছাড়াও জগদীশপুর-কলকাতা গ্যাস পাইপলাইনের কাজ এ বছর জুনের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য রাখা হয়েছে। তাজপুর সমুদ্র বন্দরের কাজও শুরু হবে শীঘ্রই। বারাণসী-কলকাতা এক্সপ্রেসওয়ের কাজ চলছে। নতুন ৩২টি শিল্পতালুকে ১২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং প্রায় দেড় লক্ষ কর্মসংস্থানের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy