ভারতীর স্বামী এম এ ভি রাজু। ফাইল চিত্র।
ভারতী ঘোষের পর এ বার সুপ্রিম কোর্টে সুরাহা পেলেন তাঁর স্বামী এম এ ভি রাজু। কলকাতা হাইকোর্টে গত ১ অক্টোবরই দু’মাসের জন্য শর্তাধীন জামিন পেয়েছেন তিনি। সুপ্রিম কোর্ট আজ নির্দেশ দিল, দু’মাস পরে জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ রাজুকে গ্রেফতার করতে পারবে না। দু’সপ্তাহ তাঁর হাতে সময় থাকবে। তার মধ্যে রাজু সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবেন। তবে ওই দু’সপ্তাহও জামিনের শর্তগুলি বহাল থাকবে। অর্থাৎ তখনও ভারতীর স্বামী কলকাতা ছাড়তে পারবেন না। এবং নিয়মিত তাঁকে থানায় হাজিরা দিতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট গত ১ অক্টোবর ভারতী ঘোষের গ্রেফতারির উপরে তিন সপ্তাহের জন্য স্থগিতাদেশ জারি করেছে। রাজ্যের জবাব আসার জন্য সময় দিতেই এই স্থগিতাদেশ। ওই দিনই কলকাতা হাইকোর্ট রাজুর জামিন মঞ্জুর করে। আজ তাই বিচারপতি এ এম খানউইলকর ও বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের বেঞ্চ সুপ্রিম কোর্টে জামিনের মামলা খারিজ করে দিতে চেয়েছিল।
রাজ্যের আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরাও সেই দাবি তোলেন। কিন্তু রাজুর হয়ে প্রাক্তন সলিসিটর জেনারেল রঞ্জিত কুমার যুক্তি দেন, স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলার কারণে তাঁর মক্কেলকে গ্রেফতার করে দু’মাস জেলে পুরে রাখা হয়েছে। কেন রাজুকে অন্তর্বর্তী শর্তাধীন জামিন দেওয়া হবে? চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট রাজু কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জে চাকরি করেন। কেন তাঁকে শর্তহীন জামিন দেওয়া হবে না?
ভারতী মামলায় প্রথমে পুলিশের সাক্ষী ছিলেন দাসপুরের দিলীপ গুছাইত। কিন্তু ‘পক্ষ’ বদলানোয় সিআইডি তাঁর বিরুদ্ধেই মিথ্যে মামলা করছে— এই অভিযোগ তুলে তিনি সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। দিলীপের হয়ে প্রবীণ আইনজীবী অজিত সিন্হা যুক্তি দেন, দিলীপকে জোর করে সাক্ষী হতে বাধ্য করা হয়েছিল।
যে সব নথির ভিত্তিতে ভারতীর বিরুদ্ধে সোনা লুটের মামলা হয়েছে, তার সবটাই মিথ্যে। পুলিশ দিলীপকে চাপ দিচ্ছে বলে অভিযোগ শুনে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছে পুলিশি নিরাপত্তার আবেদন জানাতে নির্দেশ দেয়। এবং সেই আবেদন উপযুক্ত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন বিচারপতিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy