Advertisement
E-Paper

School Attendance: স্কুলে আসছে না অনেকেই, বাড়ি বাড়ি নজরদারি

মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘ইস্কুল ডাকছে’ শিরোনামে সেই কর্মসূচির আজ, বৃহস্পতিবার সূচনা করবেন জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী।

প্রতীকী ছবি।

বিদ্যুৎ মৈত্র

শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০২১ ০৫:৪৩
Share
Save

দেড় বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ ছিল স্কুল। তার পরে ষোলো দিন আগে স্কুল খুললেও অনেক বিদ্যালয়েই পড়ুয়াদের অনুপস্থিতির হার উদ্বেগজনক। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়। পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করার জন্য অনেক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা উদ্যোগীও হয়েছেন। এ বার, অনুপস্থিতির কারণ খতিয়ে দেখতে ও সেই সমস্যা সমাধানের জন্য উদ্যোগী হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলা প্রশাসনও।

এই জেলার প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, শিক্ষাবন্ধু, প্যারাটিচার ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যদের নিয়ে প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতে একটি করে কমিটি তৈরি করা হবে। তাঁদের হাতে স্কুল শিক্ষকরা এ ক’দিনে অনুপস্থিত পড়ুয়াদের তালিকা দেবেন। সেই তালিকা ধরেই কমিটির সদস্যেরা নিজের নিজের এলাকায় গিয়ে অনুপস্থিত পড়ুয়াদের সঙ্গে, তাদের বাবা মায়ের সঙ্গে কথা বলবেন। অনুপস্থিতির প্রকৃত কারণ খুঁজবেন তাঁরা। আর্থিক কিংবা অন্য কোনও সমস্যার কারণে যদি পড়ুয়া স্কুল বিমুখ হয়, তা হলে তার সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলেও প্রশাসন সূত্রে জানা যায়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের এই কাজে নামানোর আগে তাঁদের সঙ্গে এক দফা বৈঠক করেছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকেরা। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরীও। করোনা বিধি মেনে কেমন করে বাড়ি বাড়ি ঘুরে এই কাজ করতে হবে, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘ইস্কুল ডাকছে’ শিরোনামে সেই কর্মসূচির আজ, বৃহস্পতিবার সূচনা করবেন জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী। জেলাশাসক বলেন, “করোনা ভীতি কাটিয়ে অনুপস্থিত স্কুল পড়ুয়াদের স্কুলে আসার জন্য আবেদন করা হবে এই কর্মসূচির মাধ্যমে। আর তা করা হবে অনুপস্থিত পড়ুয়ার পাড়ার অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, শিক্ষক, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের মাধ্যমে।” দিন সাতেক পরে কমিটির ফিডব্যাক রিপোর্টের উপরে ভিত্তি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান জেলাশাসক। প্যারাটিচারদের কাজে লাগিয়ে ইতিমধ্যে পাইলট প্রজেক্ট হিসাবে বেশ কিছু স্কুলে এই কর্মসূচি শুরু হয়েছে। তার সাড়াও মিলেছে বলে জানান খিদিরপুর কলোনি নেতাজী হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক জয়দীপ দত্ত। তিনি বলেন “গত তিন দিন অনুপস্থিত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তার ফলে উপস্থিতির হার ৩৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৫৫ শতাংশ হয়েছে।” হিকমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “গত পনেরো দিনে যে সমস্ত পড়ুয়া স্কুলে আসেনি, বাড়ি বাড়ি গিয়ে গত তিন দিনে তাদের প্রায় ৪০ শতাংশকে স্কুলে আনা সম্ভব হয়েছে।” জয়দীপবাবু বলেন, ‘‘এ বার প্রশাসনও এগিয়ে আসায় স্কুলগুলো আবার ছাত্রছাত্রীদের কলরবে মেতে উঠবে বলে আশা করছি।’’

school Pandemic Education

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।