মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তোপ মুকুল রায়ের। —ফাইল ছবি
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হুঁশিয়ারিকে হিটলারের সঙ্গে তুলনা করলেন মুকুল রায়। এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে জুনিয়র ডাক্তারদের ৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে কঠোর ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই প্রসঙ্গেই বিজেপি নেতা মুকুল রায় এ দিন জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই আচরণ হিটলারকেও হার মানায়। মুকুলের আরও বক্তব্য, হাসপাতালে সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়া এবং জুনিয়র ডাক্তারদের নিরাপত্তা, দুই দায়িত্বই স্বাস্থ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেরই বর্তায়।
টানা আন্দোলনের জেরে রাজ্য জুড়েই কার্যত স্বাস্থ্য পরিষেবা শিকেয় উঠেছে। কলকাতার সব ক’টি মেডিক্যাল কলেজে পরিষেবা বন্ধ করে আন্দোলনে জুনিয়র ডাক্তাররা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার এসএসকেএম হাসপাতাল পরিদর্শনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের উদ্দেশে বলেন, ৪ ঘণ্টার মধ্যে জুনিয়র ডাক্তাররা কাজে যোগ না দিলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারিও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
সেই প্রেক্ষিতেই মুকুল রায় এ দিন বলেন, ‘‘এসএসকেএম হাসপাতালে এই আচরণ (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের) হিটলারকেও হার মানায়। যেন তানাশাহির রাজনীতি চলছে।’’
এসএসকেএম হাসপাতালে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, জুনিয়র চিকিৎসকদের এই আন্দোলনের পিছনে বিজেপি এবং সিপিএমের উস্কানি ও মদত রয়েছে। কিন্তু গোটা আন্দোলনের দায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘাড়েই চাপিয়েছেন মুকুল। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি স্বাস্থ্যমন্ত্রক এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকও মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই রয়েছে। সেই বিষয় স্মরণ করিয়ে দিয়ে মুকুল বলেন, ‘‘হাসপাতালে যেমন সাধারণ গরিব মানুষের চিকিৎসা পাওয়া উচিত, তেমনই সঙ্গে সঙ্গে এটাও ঠিক, হাসপাতালে চাকরি করতে গিয়ে, তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে, কেন বার বার তাঁরা বহিরাগতদের হাতে নিগৃহীত হবেন।’’
আরও পড়ুন: নিঃশর্ত ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী, না হলে আন্দোলন চলবে, ঘোষণা এনআরএস-এর জুনিয়র ডাক্তারদের
আরও পডু়ন: ৪ ঘণ্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে কঠোর ব্যবস্থা, এসএসকেএম-এ গিয়ে ডাক্তারদের হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর
এর পাশাপাশি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়িয়ে মুকুল এ দিন আরও বলেন, ‘‘প্রতিটি হাসপাতালে কোনও ডাক্তার তাঁর নিজস্ব দায়িত্ববোধ থেকে কোনও রোগীকে বঞ্চিত করেন না। কিন্তু তা সত্ত্বেও তাঁদের সঙ্গে যে আচরণ করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে এই সরকার আজ পর্যন্ত কোনও দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ করেনি। তার কারণ, যাঁরা ডাক্তারদের উপর হামলা করেছে, তাঁদের অধিকাংশই ওঁদের দলের লোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy