রাজভবনে বিজেপি নেতা মুকুল রায়।—ছবি পিটিআই।
এনআরএস-কাণ্ড এবং একের পর এক রাজনৈতিক কর্মী খুনের প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইস্তফার দাবি তুললেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তিনি শুক্রবার বিকেলে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠীর সঙ্গে দেখা করেন। সেখান থেকে বেরিয়ে মুকুলবাবু বলেন, ‘‘এনআরএস-কাণ্ডের পরে রাজ্যে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলছি, বাংলার ন’কোটি মানুষকে নিয়ে ছেলেখেলা করবেন না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর পদ থেকে তাঁর এখনই পদত্যাগ করা উচিত।’’ মুকুলবাবুর আরও বক্তব্য, ‘‘রাজ্যে যে চিকিৎসক-সঙ্কট তৈরি হয়েছে, তাতে রাজ্যপালের অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলা দরকার।’’
তৃণমূল অবশ্য হিংসায় উস্কানি দেওয়ার পাল্টা অভিযোগ তুলেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপি রাজ্যে অশান্তি, নৈরাজ্য তৈরির চেষ্টা চালাচ্ছে। মমতার ইস্তফা না চেয়ে তারা বরং বিরোধী হিসাবে নিজেদের সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করুক।’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ আগেই চিকিৎসকদের দাবিকে সমর্থন জানিয়েও তাঁদের কর্মবিরতি তুলে নেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। এ দিন বাঁকুড়ায় একটি দলীয় অনুষ্ঠানের ফাঁকে তিনি ফের বলেন, ‘‘যা চলছে, ঠিক চলছে না। হাসপাতাল ঝগড়া করার জায়গা নয়। ডাক্তারদের সুরক্ষার অভাব আছে, কিন্তু অসুস্থ গরিব মানুষের কথা ভেবে তাঁদের এই হরতাল তুলে নেওয়া উচিত।’’ একই সঙ্গে দিলীপবাবুর মন্তব্য, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডাক্তারদের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছেন, তা ঠিক নয়। ডাক্তাররা সিপিএম বা বিজেপি নন।’’
হাসপাতালে ডাক্তারদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবার এবিপি আনন্দে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, লোকসভা ভোটের সময় নির্বাচন কমিশন হাসপাতালগুলি থেকে পুলিশ তুলে নিয়েছে। তাই এই ঘটনা ঘটেছে। মুখ্যমন্ত্রীর ওই দাবি সত্য কি না, তা জানতে এ দিন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে গিয়ে চিঠি দেন বিজেপি নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার এবং শিশির বাজোরিয়া। পরে জয়প্রকাশবাবু বলেন, ‘‘কমিশন জানিয়েছে, আমাদের চিঠির উত্তর দেওয়া হবে। কমিশন বলেছে, পুলিশ কোথা থেকে নেওয়া হবে, সেটা ঠিক করে রাজ্য। স্পর্শকাতর এলাকা থেকে পুলিশ তোলা হয়নি।’’
ডাক্তারদের দু’টি সংগঠন জয়েন্ট প্ল্যাটফর্ম অফ ডক্টরস এবং ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টরস ফোরামের প্রতিনিধিরাও এ দিন রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে চিকিৎসক-জট কাটাতে তাঁর হস্তক্ষেপ চান। তাঁদের সঙ্গে ছিলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া ফ্যাশন ডিজাইনার অগ্নিমিত্রা পল। তবে অগ্নিমিত্রা বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে রাজ্যপালের কাছে গিয়েছিলাম। বিজেপির পক্ষ থেকে যাইনি।’’
বৃহস্পতিবার হাসনাবাদে দলীয় কর্মী সরস্বতী দাসের খুনের ঘটনাও এ দিন রাজ্যপালকে জানিয়েছেন মুকুলবাবু। ওই ঘটনার প্রতিবাদে এ দিন সন্ধ্যায় বিজেপির মহিলা মোর্চার রাজ্য সভানেত্রী তথা সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মোমবাতি মিছিল হয় চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy