মুকুল রায়। —ফাইল চিত্র।
প্রতারণা মামলায় আপাতত দশ দিনের জন্য রেহাই পেলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। আজ দিল্লি হাইকোর্ট জানিয়েছে, কলকাতা পুলিশ চাইলে আগামী দশ দিনের মধ্যে দিল্লির বাড়িতে এসে মুকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে। কিন্তু তাঁকে ওই সময়ের মধ্যে গ্রেফতার করা যাবে না।
কলকাতায় একটি প্রতারণা মামলায় আদালত তিন বার ডেকে ডেকে পাঠালেও হাজির হননি মুকুল রায়। গত সোমবারেও ওই মামলায় তিনি হাজির না থাকায় শেষে মুকুলের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে ব্যাঙ্কশাল আদালত। যাতে স্থগিতাদেশ চেয়ে দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মুকুলের আইনজীবীরা। আজ সেই মামলার শুনানিতে দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, মকুলের বাড়ি গিয়ে কলকাতা পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই পারে, কিন্তু আগামী দশ দিন তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না। মুকুল যাতে তদন্তের স্বার্থে কলকাতা পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করেন, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলেছে আদালত। মুকুলের আইনজীবী কবীরশঙ্কর বসু বলেন, ‘‘অবিলম্বে দিল্লি হাইকোর্টের ওই নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল আদালতকে জানিয়ে দেওয়া হবে।’’
রাজ্যের তরফে আইনজীবী সিদ্ধার্থ লুথরা আদালতকে জানান, মামলাটির তদন্তকারী অফিসার নিজেই এখন দিল্লিতে। আগামিকাল সকাল ১১টা থেকে তিনি মুকুলের দেওয়া দিল্লির ঠিকানায় গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। বিচারপতি এ কে চাওলা জানান, কলকাতা পুলিশ চাইলে কালই মুকুলের দিল্লির বাড়িতে এসে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।
রায়ে দৃশ্যতই স্বস্তিতে মুকুল রায়। তিনি আজ দাবি করেন, ‘‘শুরু থেকেই তদন্তে সহযোগিতা করতে চেয়েছি। কলকাতা পুলিশকেও জানিয়েছিলাম, তারা চাইলে দিল্লির বাড়িতে এসে আমায় জিজ্ঞাসবাদ করতেই পারে। কিন্তু পুলিশ আসেনি।’’ তিনি কলকাতা না দিল্লির বাসিন্দা— তা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্ক প্রসঙ্গে মুকুল বলেন, ‘‘ঠিকানা প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের আইনজীবীরা বলেছেন, আমি না কি মিথ্যা তথ্য দিয়েছি। আমি দিল্লির বর্তমান ঠিকানায় প্রথমে সাংসদ হিসেবে ছিলাম। সাংসদ পদ চলে যাওয়ার পরে রাজ্যসভার সাংসদ রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের অতিথি হিসেবে ওই একই বাংলোয় থাকতাম। এখন বিজেপির আরেক সাংসদ স্বপন দাশগুপ্তের অতিথি হিসেবে ওই একই ঠিকানায় বসবাস করছি। এমন ভাবে অনেকেই থাকেন। আমার আধার ও প্যান কার্ড সবই দিল্লির। ভোটার কার্ডও দিল্লির।’’ কবীরশঙ্করের যুক্তি, ‘‘রাজধানীর বাসিন্দা বলেই দিল্লি হাইকোর্ট মুকুলবাবুর একাধিক আবেদন শুনতে রাজি হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy