—ফাইল চিত্র।
নারদ-কাণ্ডে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য সিবিআইকে সম্মতি দেওয়ার আর্জি জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি পাঠালেন রাজ্যসভার নবনির্বাচিত সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা সারদা-য় প্রতারিত মানুষের টাকা ফেরত এবং অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে আদালতে লড়াই করেছিলেন আইনজীবী বিকাশবাবু। নারদার ঘুষ-কাণ্ডের তদন্ত নিয়েও টালবাহান চলছে দীর্ঘ দিন। সাংসদ হয়ে বিকাশবাবু এ বার লোকসভার স্পিকারের দফতরকে সক্রিয় হওয়ার আর্জি জানালেন।
লোকসভার স্পিকারকে ই-মেলে পাঠানো চিঠিতে সিপিএম সাংসদ লিখেছেন, সাধারণ মানুষের আশা-আকাঙ্খার কথা মাথায় রেখেই তাঁর দফতরের পদক্ষেপ প্রত্যাশিত। লোকসভার কয়েক জন সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্তের ভিত্তিতে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য নিয়মমাফিক স্পিকারের অনুমতি চেয়েছে সিবিআই। বিকাশবাবুর যুক্তি, দিনের পর দিন ওই আবেদন ফেলে রাখলে জনমানসে বার্তা যেতে পারে যে, স্পিকারের দফতর অভিযুক্তদেরই আড়াল করতে চাইছে। সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের (সিভিসি) সাম্প্রতিক রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন বিভাগের সম্মতির অপেক্ষায় অন্তত ৫৮টি মামলায় ১১০ জনের বিরুদ্ধে আইনি প্রক্রিয়া থমকে রয়েছে। তৃণমূলের তিন সাংসদ ও রাজ্যের এক মন্ত্রীকে জড়িয়ে একটি অভিযোগও (আরসি ১০ (এ)/২০১৭, এসিবি কলকাতা) ওই তালিকায় রয়েছে, যা নিয়ে তদন্ত সম্পূর্ণ করার সবুজ সঙ্কেত মেলেনি। কেন্দ্রীয় কর্মিবর্গ মন্ত্রকের পাশাপাশি লোকসভার স্পিকারেরও সম্মতির অপেক্ষায় রয়েছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
প্রায় এক বছর ধরে তদন্তের প্রক্রিয়া কেন থমকে রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা আব্দুল মান্নান ও বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী। মান্নান শুক্রবার বলেন, ‘‘কেলেঙ্কারির তদন্ত নিয়ে বিজেপি নেতারা বড় বড় কথা বলেন। কিন্তু বিজেপি সরকারের ভূমিকার জন্যই এ রাজ্যের শাসক দল যে ছাড় পাচ্ছে, তা প্রকাশ্যে আসা দরকার!’’
আরও পড়ুন: কলেজ থেকে ইস্তফা বৈশাখীর
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy